অনুমতি ছাড়াই পঞ্চায়েতের বড়ো বড়ো গাছ কাটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।ভাতাড়ের বনপাশ পঞ্চায়েতের আমবোনা এলাকার ঘটনা।

Spread the love

অনুমতি ছাড়াই পঞ্চায়েতের বড়ো বড়ো গাছ কাটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।ভাতাড়ের বনপাশ পঞ্চায়েতের আমবোনা এলাকার ঘটনা।

সেখ মিলন (ভাতাড়, পূর্ব বর্ধমান) বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়ায় পঞ্চায়েতের লাগানো বড়ো বড়ো গাছ বিনা টেন্ডারে কেটে নেওয়া হয়েছে। আর এই গাছ বিক্রি টাকা কোথায় ? এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এমনই এক ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবোনা এলাকায়। জানা গেছে ,ভাতারের বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবোনা গ্রাম যাওয়ার রাস্তার পাশে রয়েছে পুরনো ইউক্যালিপটাস ও সোনাঝুরি গাছ। প্রায় আটটি পরিণত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কিন্তু সেই গাছ কারা কাটলো এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ? গাছ কাটার টাকায় বা কোথায় গেল এই নিয়ে ধ্বন্দ্বে রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান । জানা গেছে, আমবোনা এলাকার বাসিন্দা খোকন নায়েক নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই গাছগুলি মালিকানার দাবি জানিয়ে গাছগুলি কাটার জন্য এন ও সি( নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের আবেদন করেছিলেন। এ বিষয়ে খোকন নায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করলেও আবেদনপত্রে সইয়ের কথা অস্বীকার করেন। তিনি আরোও জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের নির্দেশেই গাছ কেটে বিক্রি করে কোন এক শাসকদলের নেতার হাতে সেই টাকা দিয়েছেন। আমবোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা চন্দনা দাস বলেন, টেন্ডার ছাড়াই সাতটি গাছ ৩৬ হাজার টাকার বিনিময়ে কাটা হয়েছে বিষয়টি সবাই জানেন।
এ বিষয়ে বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চম্পা আরশ বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার মাধ্যমে রাস্তার উপর গাছ কাটার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের একটি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। এবং তাঁকে সেই সার্টিফিকেট ও দেওয়া হয়েছে।তবে গাছগুলি কারা কেটেছে এবং গাছ কাটার টাকা পঞ্চায়েতের ফান্ডে জমা পড়েছে কিনা খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *