অসহায় শিশু
দিলীপ কুমার বিশ্বাস
অসহায় শিশু কাঁদছে পথে লুটিয়ে ধুলোর পরে,
যাচ্ছে সবাই পাশ কাটিয়ে তুলছে না কেউ ধরে।
পায়’না চেয়ে একমুঠো ভাত ঘুরে লোকের বাড়ি,
উদাস চোখে বসে কাটায় মনটা করে ভারি।
কোথায় থাকে অসহায় শিশু নেয়’না তার খোঁজ,
দূরের থেকে দেখলে পরে ভাবে মাথার বোঝ।
চাইলে পরে দেয়’না কিছু অসহায় শিশু ভেবে,
মনের মাঝে ফন্দি আঁটে কখন তাড়িয়ে দেবে।
আয়েশ করে গোল টেবিলে সকলে খায় ভাত,
খিদের পেটে অসহায় শিশুর নীরবে কাটে রাত।
অতি কষ্টে রোদ বৃষ্টিতে কাটায় পথের পাশে,
পাবার লাগি একমুঠো ভাত তাকিয়ে থাকে আশে।
দেয়’না কেউ হাত বাড়িয়ে বুঝে মনের কথা,
চাইতে গেলে রোখ রাঙিয়ে অন্তরে দেয় ব্যথা।
তবুও মনে ভরসা রেখে ঘোরে লোকের পিছু,
দুঃখের কথা সকল ভুলে মাথাটা করে নিঁচু।
খিদের জ্বালা মানিয়ে যারা নীরবে করে কাজ,
তাদের কথা ভাবে’না কেউ ভুলে মনের লাজ।
ইচ্ছে জাগে জড়িয়ে ধরি ঘুরছে যারা পথে,
ভালোবাসার পরশ দিয়ে বসাই সোনার রথে।
শির উঁচিয়ে বাঁচুক তারা এই সমাজের বুকে,
খিদের জ্বালায় অপুষ্টিতে মরছে যারা ধুকে।
উঠুক জ্বলে জ্ঞানের আলো সবার হৃদয় মাঝে,
অসহায় শিশুর তকমা ঘুচে ঘুরুক সকাল সাঁঝে।
.