আসন্ন মহাকুম্ভ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ কুমার সাক্সেনা
পারিজাত মোল্লা ,
সোমবার কলকাতার পার্কস্ট্রিটের এক সভাগৃহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ কুমার সাক্সেনা এবং উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় সিং গাঙ্গোয়ার মহাকুম্ভ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন কুম্ভ মেলায় তীর্থযাত্রীদের আধুনিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এই মহতী প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ, চিড়িয়াখানা এবং জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী অরুণ কুমার সাক্সেনা পশ্চিমবঙ্গে এক মহৎ রোড শো-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শ্রী অরুণ কুমার সাক্সেনা উল্লেখ করেন, সরকার এমন এক ঐতিহাসিক ইভেন্ট আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে, যেখানে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ এবং সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ হল ভারতের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার প্রতিফলন, যা ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত, সমন্বিত ভারত’-এর এক উজ্জ্বল প্রতীক।” সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী অরুণ কুমার সাক্সেনা জানান, “২০১৯ সালের প্রয়াগরাজ কুম্ভের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছিল। এই বছরের মহাকুম্ভ সেটিকে ছাড়িয়ে গিয়ে আরও ভব্য এবং দিব্য হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে। এই ঐতিহাসিক মেলা ইউনেস্কো কর্তৃক মানবজাতির অমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। মহাকুম্ভ ২০২৫-কে পরিবেশ বান্ধব করার জন্য এটিকে একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মেলা এলাকায় ডোনা-পাতল বিক্রেতাদের জন্য দোকানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৪ লক্ষ শিশু এবং প্রয়াগরাজের জনসংখ্যার পাঁচগুণ মানুষকে এই বার্তাটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
মহাকুম্ভে তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও ছোট হাসপাতাল এবং জরুরি পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিজিটাল মহাকুম্ভ
মহাকুম্ভ ২০২৫-কে ডিজিটাল রূপ দিতে একটি ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং ১১টি ভাষায় এআই-চালিত চ্যাটবট চালু করা হবে। তীর্থযাত্রীদের জন্য কিউআর-ভিত্তিক পাস, ড্রোন নজরদারি, এবং গুগল ম্যাপস-এর সাথে ইন্টিগ্রেশনের ব্যবস্থা থাকছে। পরিকল্পিত যানবাহন পার্কিং এবং নতুন ঘাট নির্মাণ ৫ লক্ষ যানবাহনের জন্য স্মার্ট পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহাকুম্ভ শহরে ৯টি নতুন ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে।