ওবিসি শংসাপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করলো না সুপ্রিম কোর্ট 

Spread the love

ওবিসি শংসাপত্র মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করলো না সুপ্রিম কোর্ট 

মোল্লা জসিমউদ্দিন,   

সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলার শুনানি হল । এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ জানুয়ারি, ২০২৫। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানিয়েছে, -‘৭ জানুয়ারি, ২০২৫ এই মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে’। ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চাইল রাজ্য। তবে এখনই সেই আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট। আপাতত বহালই থাকছে কলকাতা হাইকোর্টের রায়। জানুয়ারি মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি।’শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়।’ তাঁর পর্যবেক্ষণে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিচারপতি বি আর গাভই।রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল  বলেন, -‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ২৮ শতাংশ সংখ্যালঘু রয়েছে। তার মধ্যে ২৭ শতাংশ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। রঙ্গনাথ কমিশন মুসলিমদের সংরক্ষণের সুপারিশ করেছিল। কলকাতা হাইকোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের একটি রায়কে সামনে রেখে মামলায় নির্দেশ দিয়েছে। অথচ ওই রায় স্থগিত রয়েছে’। এই মামলা বিচারপতি বি আর গাভই স্পষ্ট বলে দেন -‘শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ পাওয়া উচিত নয়’। তবে শুনানি মুলতুবি রাখেন বিচারপতি।রাজ্যের আইনজীবী বলেন, -‘পিছিয়ে পড়া অংশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও অন্য সম্প্রদায় রয়েছে। এর প্রতুত্তরে  বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন বলেন, “কমিশন না করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কী ভাবে সংরক্ষণের তালিকা তৈরি করতে পারে?” রাজ্য উত্তরে বলে, “বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণীবিন্যাস করেছে।”মূল মামলাকারীদের আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া হাইকোর্ট রায়ে বলেছে কোনও সমীক্ষা করা হয়নি। নির্দিষ্ট কোনও তথ্য ছাড়াই ওবিসি ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি কমিশনকে এড়িয়ে ওই কাজ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ওই বিষয়ে বলার আগে ৬৬টি সম্প্রদায় ছিল। বলার পরে ৪৪টি সম্প্রদায়কে পিছিয়ে পড়া বলা হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে রাজ্য করতেই পারে কিন্তু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।” বিচারপতি গাভই বলেন, “হাইকোর্ট বলেছে শ্রেণীবিন্যাস করে রাজ্য বিধানসভায় পেশ করুক। রাজ্য কেন নিজের ক্ষমতায় করতে পারবে না?”রাজ্য এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানায়। সুপ্রিম কোর্ট বলে, -‘আমরা এখনই কোনও নির্দেশ দেব না’। আগামী ৭ জানু়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *