করোনার জের,বাড়ি বাড়ি প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের ব্যালট ভোট বীরভূমে

Spread the love

খায়রুল আনাম সম্পাদক আয়না টেলি নিউজ,

 করোনার কারণে জেলায় প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের পোস্টাল  ব্যালটে ভোটগ্রহণ শুরু
         
এবার আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তারই মাঝে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্বের একেবারে শেষ ধাপে ২৯ এপ্রিল বীরভূম জেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে।  তারমধ্যে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।  সেই পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি দিয়ে জেলায় ১৬ এপ্রিল শুক্রবার থেকে শুরু হলো প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ পর্ব। যাঁদের বয়স ৮০ ঊর্ধ্বে এবং যাঁঁরা ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধী,  তাঁদেরই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রগণ করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।    জেলাজুড়ে এই ভোটদানের কাজ সম্পন্ন করতে নির্বাচন দফতর ২৫০টির বেশি দল গঠন করেছে। প্রতিটি দলে রয়েছেন দু’জন করে পোলিং অফিসার,  একজন মাইক্রো অবজারভার, একজন ভিডিওগ্রাফার, চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও দু’জন রাজ্য পুলিশের কর্মী।  থাকছেন প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে প্রতিনিধি।  যাঁরা এই ভোটদানের সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের বাড়িতে এই ভোট গ্রহণ দলটি গিয়ে সেখানে একটি আড়াল তৈরী করে ভোটদান কেন্দ্র তৈরী করছেন। তারপরই ভোটারের হাতে দেওয়া হচ্ছে ব্যালট পেপার। ভোটদাতাকে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভোটদান পদ্ধতি। ভোটদাতা অস্থায়ী ঘেরা জায়গাটিতে  গিয়ে ভোটদানের পরে ব্যালটটি খামের মধ্যে ভরে সেখানে উপস্থিত  ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত কর্মীর হাতে তুলে দিচ্ছেন।      জেলা বীরভূমের ১১ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে বোলপুরে যথাক্রমে ৮৫৯ ও ২৪৭ জন, নানুর বিধানসভায় ১০৫৪ ও ৪৮৩ জন,   লাভপুর বিধানসভায় ১০০৭ জন ও ৪০৭ জন, রামপুরহাট বিধানসভায় ৬৪৪ ও ২৩৬ জন, ময়ূরেশ্বর বিধানসভায় ১০৫২ ও ২৫৫ জন, হাঁসন বিধানসভায়  ৯৬০ ও ৩৫৮ জন, নলহাটি বিধানসভায় ৩১৩ ও ১৫৪ জন, মুরারই বিধানসভায় ৬৩৫ ও ১৯৪ জন, দুবরাজপুর বিধানসভায় ৮৭২ ও ২৯০ জন, সিউড়ি বিধানসভায় ৮৫৮ ও ৩৬৩ জন এবং সাঁইথিয়া বিধানসভায়  ৯৮৬ ও ৩৯৩ জন ভোটার রয়েছেন।  এইসব প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী সমস্ত ভোটারদেরই ভোটদান সুনিশ্চিত করারই প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *