কাজল সেখ বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হলেন
সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- বুধবার বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন নানুর এলাকার দাপুটে তৃনমূল নেতা ফায়েজুল হক ওরফে কাজল সেখ। জেলা শাসক বিধান রায়ের কাছে শপথ বাক্য পাঠ করে সভাধিপতির আসনে বসেন। সেইসাথে বিদায়ী সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী র কাছে থেকে দায়িত্বভার বুঝে নেন। কাজল সেখ এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে কয়েক হাজার দলীয় কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হয়। উল্লেখ্য বীরভূম জেলা পরিষদের ১৯ নম্বর আসন থেকে প্রতিদ্বন্ধিতা করে প্রায় ৪৫০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। বীরভূমে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবার বড়ো পরিবর্তন বলে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য। জেলা সভাধিপতির পদে বসতে চলেছেন অনুব্রত মন্ডল বিরোধী হিসাবে পরিচিত কাজল শেখ এমন খবর আগে ভাগেই ছড়িয়ে গিয়েছিল জেলাজুড়ে। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক জল্পনা। এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা,ডেপুটি স্পীকার ড. আশীষ ব্যানার্জী,বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সকল সদস্য সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সভাধিপতি পদে শপথ নেওয়ার পর কাজল সেখ বলেন, ‘২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে উন্নয়নের নিরিখে বীরভূমের ছবি বদলে দিয়েছেন। বীরভূমকে আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী সব দিয়েছেন। বিক্ষিপ্তভাবে কোনও গ্রাম বা এলাকায় হয়তো উন্নয়ন হয়নি। জেলা পরিষদের দায়িত্ব নিয়ে সেখানে কাজ করারই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। জেলা পরিষদের সদস্য ও ব্লক সভাপতিদের থেকে খোঁজ খবর নিয়ে সেই কাজ করা হবে।তিনি আরও বলেন, ‘জেলা পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এলাকায় এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা বুঝতে হবে। যেখানে উন্নয়নের খামতি রয়েছে, সেগুলো পূরণ করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে এখন এগিয়ে নিয়ে আসা। বাংলায় গণতন্ত্র রয়েছে, প্রমাণস্বরূপ এই জেলায় বিরোধীরাও বেশ কিছু পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছেন। সরকারি সব প্রকল্পের সুবিধা সবদলের মানুষ পেয়েছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও বঞ্চনা করা হয়নি। জানা যায় যে,জেলা পরিষদের মোট ৫২ টি আসনের মধ্যে তৃনমূল কংগ্রেসের দখলে আসে ৫১টি এবং বাম- কংগ্রেস জোটের দখলে যায় একটি আসন। সভাধিপতির পাশাপাশি সহ সভাধিপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্বর্ণলতা সরেন। বিশেষ উল্লেখ্য বীরভূম জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল গরু পাচার মামলায় তিহার জেলে বন্দী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জেলার দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাঁধে জেলার দায়িত্বভার তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বীরভূম সফরে এসে। সেই মঞ্চ থেকেই কাজল সেখ সহ অন্যান্যদের নিয়ে জেলা কোর কমিটির নাম ও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় তৃনমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক কমে যাওয়ায় তাহা পুনরুদ্ধারের জন্য কাজল সেখ কে এমন দায়িত্ব বা পদে বসানো বলে এমনটা মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।