পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা বীরভূমে

Spread the love

পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা বীরভূমে

সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় না থেকেও বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজের নিরিখে রাজনৈতিক দলের সুনজরে উঠে আসেন বীরভূমের ভূমিপুত্র অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম।আর
সেই সুবাদে তিনি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে মনোনীত হয়ে রাজ্যসভার সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে সঙ্গে অরাজনৈতিকভাবে তার যে কাজকর্মের ধারা বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে। তার রাজ্যব্যাপী কাজের যে আন্দোলন সেই নিরিখেই গঠিত হওয়া রাজ্য সরকারের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান পদেও নিযুক্ত হয়েছেন। একদিকে রাজ্যসভার সাংসদ এবং পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পর নিজের জেলা বীরভূমে আসার মুহূর্তেই এক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বৃহস্পতিবার রামপুরহাট শহরের একটি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে। আয়োজক তার হাতেই গঠিত বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের বীরভূম জেলা কমিটির পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য যে কোনো সংকটের সময় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের পাশে থেকে নিঃশব্দ ভাবে কাজে মনোনিবেশ করে গিয়েছেন।বিশেষ করে এন আর সি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন থেকে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান তুলে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রথম সারিতেই ছিলেন।এরপর করোনা পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তিনি কার্যত হয়ে উঠেছিলেন ‘মসিহা’। বীরভূমের সেই ভূমিপুত্র, সংখ্যালঘু প্রতিনিধি সামিরুল ইসলামই রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বড় চমক হয়ে ওঠে।
কুড়মি, আদিবাসী জনজাতি-সহ সংখ্যালঘু সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে নিয়ে আন্দোলনের সূচনা বা হাতে খড়ি বছর দশেক আগে। বাংলার সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রথম আন্দোলন। সদা হাস্যোজ্জ্বল অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম পরবর্তীকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে কোভিড কালে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে সাহায্য করার বিষয়েও অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ নামে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ও তৈরী করেন।পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তার যে কাজকর্মের অভিজ্ঞতা সেই নিরিখে রাজ্য সরকার গঠিত পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এখন পরিযায়ী শ্রমিক সহ তাদের পরিবার পরিজন নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান এর মুখপানে চেয়ে রয়েছে। আগামী দিনে তাদের জন্য নতুন আশার আলো দেখার অপেক্ষায়। অন্যদিকে অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম এর জন্মস্থান রামপুরহাট দু নম্বর ব্লকের মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রামের মানুষজন ও আজ গ্রামের ভূমিপুত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদকে নিয়ে ফুল মালায় বরন করে এবং আনন্দ উচ্ছাসে পুরো গ্রাম মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *