পেছিয়ে পড়া মেধাবীদের শিক্ষার আলোয় আনতে বিধায়িকার উদ্যোগ
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান-:
সরকারের পক্ষ থেকে সমস্তরকম সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও করোনার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে বিদ্যালয় ছুটের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিদ্যালয়গুলির পক্ষ থেকে সমস্তরকম চেষ্টা করেও তাদের একটা অংশকে বিদ্যালয়মুখী করা যাচ্ছেনা। ওদিকে দারিদ্রতার কারণে আদিবাসী ও প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুরা গৃহশিক্ষকদের কাছে পাঠ নিতে পারছেনা। স্বাভাবিকভাবেই মেধা থাকা সত্ত্বেও তারা কিছুটা পেছিয়ে পড়ছে।
এবার তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। তাদের জন্য আসানসোলের তালকুড়ি এলাকায় আদিবাসী অধ্যুষিত পাড়ায় এবং কালাঝরিয়া এলাকায় চালু করলেন দুটি 'এক টাকার স্কুল'। জানা যাচ্ছে বিধায়িকার বাবা তথা আসানসোলের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. অশোক রায়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা 'দোসর' এই স্কুলগুলি পরিচালনা করবে। দুটি স্কুলেই প্রায় ৬০ জন ক'রে বাচ্চা রয়েছে। এরা মূলত বিভিন্ন সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রী। তাদের বিনামূল্যে খাতা, বই, পেন স্কুল ব্যাগ সহ অন্যান্য পড়ার সামগ্রী দেওয়া হবে। স্কুলকে কেন্দ্র করে প্রথম দিনেই স্থানীয়দের মধ্যে প্রচন্ড উৎসাহ দ্যাখা যায়।
বিধায়িকা বললেন, এরা সব দিনমজুর পরিবারের সন্তান। আর্থিক কারণে তাদের পক্ষে গৃহশিক্ষক রাখা সম্ভব হয়না। মেধা থাকা সত্ত্বেও পাঠ্যসূচীর বাইরে আলাদা করে কিছু পড়াশোনা করার সুযোগ এইসব বাচ্চাগুলির নাই। তাই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এলাকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীরা তাদের পঠনপাঠনের দায়িত্ব নেবে। পাশাপাশি অশিক্ষিত অভিভাবকদেরও এই স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসা হবে।
আসানসোলের স্বনামধন্য চিকিৎসক তথা বিধায়কের বাবা অশোক রায় জানান, ইতিমধ্যে তাদের সংস্থা এই গ্রামগুলিতে স্বাস্থ্যশিবির সহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে চলেছে। এবার শিশু ও তাদের অভিভাবকদের শিক্ষার আলোয় আনা হবে।