কাশ্মীরে মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু সেনা জওয়ানের
বীরভূমের বাড়িতে আনা হলো বিশ্বজিতের মরদেহ
খায়রুল আনাম
কাশ্মীরে কর্মরত অবস্থায় মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হলো ছত্রিশ বছরের সিআরপিএফ জওয়ান বিশ্বজিৎ অধিকারীর। তাঁর বাড়ি বীরভূমের নানুর ব্লকের কীর্ণাহার থানার আলিগ্রামে। তিনি ২০০৬ সালে সিআরপিএফে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সিআরপিএফের ১১০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত ছিলেন। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী নবনীতাদেবী, দশ বছরের সন্তান, ক্যান্সার আক্রান্ত বাবা। মৃতের ভাই শুভজিৎ অধিকারী জানান, শনিবার ১৩ জানুয়ারি ব্যাটেলিয়ানের এক আধিকারিক মোবাইল ফোনে তাঁদের বাড়িতে ফোন করে জানায় যে, মাথায় গুলি লেগে বিশ্বজিৎ অধিকারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে, কী কারণে গুলি লেগেছে তা অবশ্য তাঁদের জানানো হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি। মৃতের স্ত্রী নবনীতাদেবীও কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।
মৃত সিআরপিএফ জওয়ান বিশ্বজিৎ অধিকারীর কফিনবন্দি মৃতদেহ সোমবার ১৫ জানুয়ারি সকালে তাঁর আলিগ্রামের বাড়িতে এসে যখন পৌঁছয় তখন আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সেখানে হাজির হয়েছেন বহু সংখ্যক মানুষ। প্রশাসনিক বিভিন্ন মহল থেকে ও অন্যান্যরা তাঁর মৃতদেহে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধা জানান। সিআরপিএফের পক্ষ থেকে প্রথামাফিক শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মৃতদেহের অন্তিম সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়ার গঙ্গাঘাট শ্মশানে। চোখের জলে সেখানেই তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয় ।।
ছবি : বিশ্বজিৎ অধিকারী।