মায়াপুর শ্রীচৈতন্য মঠে ব্যাস পূজোয় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম

Spread the love

মায়াপুর শ্রীচৈতন্য মঠে ব্যাস পূজোয় হাজার হাজার ভক্তের সমাগম

গত ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি মায়াপুর চৈতন্য মঠে তিনদিনব্যাপী ব্যাস পূজা অনুষ্ঠিত হল। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ত্রিদন্ডীস্বামী শ্রী ভক্তিস্বরূপ সন্ন্যাসী মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বর্তমান ও প্রাক্তন বিচারপতিগণ। শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুরের ১৫২ তম আবির্ভাব উপলক্ষে বিভিন্ন মঠ- মন্দিরের আচার্য্যগন, সন্ন্যাসীবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তিন দিনব্যাপী মূল অনুষ্ঠানটি হয় শ্রীচৈতন্য মঠে। প্রথম দিনের উৎসবের নেতৃত্ব দেন কলকাতার শ্রীচৈতন্য রিসার্চ ইনস্টিটিউটের শ্রীল ভক্তিভূষণ তুর্য্যাশ্রমী মহারাজ।দ্বিতীয় দিনে যোগপীঠের ভক্তিকুমুদ পুরী মহারাজের নেতৃত্বে শ্রীচৈতন্য মঠ থেকে হুলোর ঘাট পর্যন্ত বিশাল শোভাযাত্রা হয়। শোভাযাত্রায় প্রভুপাদের বিশাল রথ, হরিনাম সংকীর্তন সহকারে পথপরিক্রমা করে। প্রাক্তন বিচারপতি পার্থসখা দত্ত জানান, প্রভুপাদের মূল চিন্তাধারা যে এখনও গুরু পরম্পরায় সুন্দরভাবে চলে আসছে তার ব্যাখ্যা করেন । ভক্তি স্বরূপ সন্ন্যাসী মহারাজ জানান, প্রভুপাদ কি উদ্দেশ্যে মঠ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হরিনামই যে একমাত্র পথ সেটাও তিনি জানান ।
ব্যাস পুজোর দিন সকালে ভক্তিস্বরূপ সন্ন্যাসী মহারাজ শ্রীল প্রভুপাদের পাদুকাযুগল মস্তকে বহন করে ভক্তি বিজয়ভবন থেকে ভজন কুঠির হয়ে শ্রীল প্রভুপাদের সমাধি ‌মন্দিরে রাখেন। হাজার হাজার ভক্তগণ পুষ্পাঞ্জলী নিবেদন করেন।
শিশুদের ভক্তিমূলক নৃত্য এবং “রাজা হরিশচন্দ্র” ও “গীতার সংসার” নাটক মঞ্চস্থ হয়। দশ হাজার ভক্তের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয় মঠের পক্ষ থেকে উত্তম ব্রহ্মচারী জানান।
তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মঠের মহিলা ভক্তদের অবদান ছিল অনস্বীকার্য ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *