মুখে হাসি ফুটল খেজুর গুড় ব্যবসায়ীদের

Spread the love

মুখে হাসি ফুটল খেজুর গুড় ব্যবসায়ীদের

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী

কথায় আছে 'কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ'। এটা যে শুধু কথার কথা নয় তার টাটকা প্রমাণ পেল এই রাজ্যের আলু চাষী ও খেজুর গুড় ব্যবসায়ীরা।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের সৌজন্যে অকাল বর্ষণের ফলে ভেসে গেছে রাজ্যের একাধিক জেলার চাষ হওয়া আলুর জমি। ক্ষতির আশঙ্কায় কার্যত মাথায় হাত পড়ে গেছে আলু চাষীদের। এমনকি বিভিন্ন জেলায় একাধিক এলাকায় পাকা ধানের জমিও ভেসে গেছে।

এদিকে অগ্রহায়ণ মাস এসে গেলেও সেভাবে ঠান্ডা পড়েনি। ফলে চিন্তিত ছিল খেজুর গুড় ব্যবসায়ীরা। পর্যাপ্ত ঠান্ডার অভাবে খেজুর গুড়ের মধ্যে পরিচিত স্বাদ ও গন্ধের অভাব ছিল। ফলে বিক্রিবাটা ছিল কম। মিষ্টিপ্রেমী বাঙালি নলেন গুড়ের রসগোল্লার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। মিষ্টির দোকানেও সেই ভিড় দেখা যাচ্ছিল না।

অবশেষে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের হাত ধরে আসে বহু প্রতীক্ষিত ঠাণ্ডা, ঘন হতে থাকে খেজুর রস, উৎপন্ন খেজুর গুড়ের মধ্যে পাওয়া যেতে থাকে পরিচিত স্বাদ ও গন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই খেজুর গুড় ও পাটালির বিক্রি বাড়তে শুরু করে। নলেন গুড়ের রসগোল্লা প্রেমীরাও খুশি হয়। বিষণ্ন মুখে খুশির হাসি দেখা যায় আউসগ্রামের খেজুর ব্যবসায়ীদের।

নদীয়া থেকে আগত খেজুর গুড় ব্যবসায়ী   নূর হোসেন সেখ বললেন- আমরা বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে এখানে গাছ 'লিজ' নিয়ে খেজুর গুড়ের ব্যবসা করছি। ঠান্ডা না পড়ার জন্য ক্ষতির আশঙ্কায় খুব চিন্তিত ছিলাম। এখন ঠান্ডা পড়ার জন্য সেই চিন্তা কিছুটা হলেও দূর হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *