মেমারি বইমেলার উদ্বোধনে কবি-সাহিত্যিক সুবোধ সরকার
সেখ সামসুদ্দিন ও পুষ্পেন কুমার লাহা, ১৭ জানুয়ারিঃ মেমারি পৌরসভার উদ্যোগে মেমারি নতুন বাসস্ট্যান্ডে উদ্বোধন হলো ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি মেমারি বইমেলা ২০২৫। “বইমেলায় কত বই, মেলা থেকে কিনি বই” স্লোগানে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক সুবোধ সরকার। প্রথমে বইমেলার কন্যাশ্রী প্রাঙ্গনে পতাকা উত্তোলন করেন মেমারি পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ সমস্ত কাউন্সিলরবৃন্দ। বইমেলার অনুষ্ঠান মঞ্চের ফিতে কেটে সূচনা করেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী এ। উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি কাটোয়া বিধানসভার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, পূর্ব বর্ধমান পুলিশ সুপার সায়ক দাস, পূর্ব বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, বর্ধমান সদর দক্ষিণ মহকুমা পুলিশ অফিসার অভিষেক মন্ডল, মেমারি থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ মন্ডল, মেমারি থানার ওসি, মেমারি অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রের ওসি, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর মহঃ ইসমাইল, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ ব্যানার্জী, মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মধ্যক্ষ মৃন্ময় ঘোষ, মেমারি চক্রের এস আই, সমাজসেবী অচিন্ত্য চ্যাটার্জী সহ সমস্ত কাউন্সিলরবৃন্দ ও পৌর আধিকারিকবৃন্দ। মঞ্চ থেকে শহরের তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রতীকী সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া হয়। বইমেলা প্রাঙ্গণে দেড় শতাধিক স্টল যার মধ্যে বুক স্টল ৮০টি বলে জানান চেয়ারম্যান স্বপন বিষয়ী। বইমেলা মঞ্চের নামকরণ করা হয় ক্ষুদিরাম বসু মঞ্চ। বইমেলা প্রাঙ্গণ স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর স্টল থেকে মিশন নির্মল বাংলা, বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ স্টল সহ নানাবিধ স্টল রয়েছে। এদিন বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে মেমারি শহরের বাজার এলাকার দোকানঘরগুলি থেকে বর্জ্য কালেকশনের জন্য ব্যাটারি চালিত গাড়ির সূচনা করেন উদ্বোধক, চেয়ারম্যান, বিধায়ক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বারো নম্বর ওয়ার্ডের কিছু ব্যবসায়ীর হাতে পৃথক পৃথক বর্জ্য রাখার দুটি করে বক্স বা বালতি দেয়া হয়। প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে এবং জলের অপচয় বন্ধ করতে চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান। অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্যে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, কবি সাহিত্যিক থেকে সকলেই বইমেলার আয়োজনের প্রশংসা করেন। জেলা শাসক বলেন বর্তমানে ছেলেমেয়েরা গুগল সার্চ করে তথ্য সংগ্রহ করেন, কিন্তু সেখানে সবসময় সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না, বই পড়ুন সঠিক তথ্য জেনে জ্ঞান অর্জন করুন। উদ্বোধক সুবোধ সরকার বলেন তিনি বিভিন্ন বইমেলায় ঘোরেন কিন্তু মেমারি বইমেলায় এসে তিনি কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে যাচ্ছেন যা আগামী দিনে সকলের কাছে তুলে ধরবেন। তিনি বলেন মেমারি বইমেলার উদ্বোধনে যেভাবে মহিলারা সামনের সারিতে বসে ভিড় জমিয়েছেন যা অন্যান্য বই মেলাতে বিরল এবং এখানে যেভাবে আয়োজন করা হয়েছে তিনি কলকাতায় গিয়ে অন্যান্য কবি সাহিত্যিকদের মেমারি বইমেলা একবার ঘুরে যাওয়ার কথা বলবেন। অতিথিবৃন্দ আবেদন করেন বইমেলার আরও শ্রীবৃদ্ধি করতে বইমেলায় আসুন ও বই কিনুন। বইমেলায় প্রবেশ অবাধ, প্রত্যেহ বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে।