যৌনকর্মীদের জন্য বিশেষ বার্তা নিয়ে বর্ধমান মহিলা থানা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যৌনকর্মীদের জন্য যে সাবলম্বন প্রকল্প অর্থাৎ যে সমস্ত মহিলা যৌনকর্মী অথবা তাদের সন্তান রা যারা ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে সেই সমস্ত মহিলাদের জন্য যে সকল সুযোগ-সুবিধা এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে অবগত করার জন্য এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের মহিলা থানা তাদের উদ্যোগে এবং বর্ধমান সহযোদ্ধা নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় মহাজনটুলি পূর্ব বর্ধমানের একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয় প্রায় ১০০ জন মহিলা যৌনকর্মী নিয়ে।
এবং সেই সঙ্গে পাশাপাশি তারা জানায় এখনো পর্যন্ত তাদের মধ্যে থেকে অনেকেই লক্ষ্মীর ভান্ডার স্বাস্থ্যসাথী অথবা নিজেদের যে যৌনকর্মীর সচিত্র পরিচয় পর্ব হয়নি সেই বিষয়ে তারা যাতে সুবিধে পায়। জেলা পুলিশের মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কবিতা দাস সেই বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।
কবিতা দাস তাদের এটাই জানান, তারা যে যার মত নিজের পেশাতে থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে শরীরকে ভালো রেখে কাজ করে চলুক এবং সমাজের বুকে তারা চাইলে একজন প্রতিষ্ঠিত মানুষ হতে পারে সেই জন্যই সরকার ও তাদের পাশে আছে। স্বাবলম্বন প্রকল্পে তারা যদি প্রশিক্ষণ নেয় তারা নিজের পরিচয় তারা তৈরি করতে পারবে এবং সেই সময় স্বাবলম্বন প্রকল্প থেকেই সরকারি কাজেও যুক্ত হতে পারে নিজের যৌনকর্মীর পেশা ছেড়ে।
এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার মহাজনটুলির একটি বেসরকারি লজের মাঠে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় বর্ধমান সহযোদ্ধার পক্ষ থেকে।
এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কবিতা দাস, বর্ধমান সহযোদ্ধার সম্পাদক প্রীতিলতা বন্দ্যোপাধ্যায় , সহ-সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক, সক্রিয় সদস্য দেবনাথ মুখার্জি সহ জেলা পুলিশের মহিলা অফিসার এবং কর্মীরা।
জেলা পুলিশের মহিলা থানার এই উদ্যোগে সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে জানার পর যৌনকর্মীরা সাধুবাদ জানাই জেলা পুলিশকে এবং রাজ্য সরকারকে। তারা চায় তাদের যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা এখনো তারা পায়নি তারা যেন সরকারি ভাবে সেই সুযোগ-সুবিধা দ্রুততার সহকারে পায়।।
পাশাপাশি এবং মহিলা থানার পক্ষ থেকে যৌনকর্মীদের শিশুদের জন্য চকলেট এবং যৌনকর্মীদের হাতে নারী দিবসকে উপলক্ষ করে গোলাপ ফুল তুলে দেওয়া হয়।। এবং শরীর সুস্থ রাখার জন্য বর্ধমান মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কবিতা দাস এবং বর্ধমান সহযোদ্ধার সহ-সভাপতি ফাল্গুনী দাস রজক যোগাসন নিয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন।