খায়রুল আনাম,
দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য যে কতখানি লাগামছাড়া হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল আরও একবার। আর সেইসাথে রেল পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের ভূমিকাও সমালোচনার উর্ধ্বে রইলো না। বীরভূম জেলার গুরুত্বপূর্ণ নলহাটি জংশন রেল স্টেশন এলাকা থেকে আস্ত রেল লাইন চুরিতে হাত দিলো বেপরোয়া দুর্বৃত্তরা। আর সেই খবর পাওয়ার পরেও সামান্য দূরত্বের রেল পুলিশ এবং নলহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলো পাঁচ ঘণ্টা পরে। নলহাটি রেল স্টেশনের পরে খাঁপুর গ্রামের কাছে একটি রেল লাইন দীর্ঘদিন ধরেই অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। উন্নতমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে আস্ত সেই রেল লাইন তুলে তিনটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার মানুষরা অবাক হয়ে দেখেন, এভাবে রেল লাইন তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে রেলের কোনও আধিকারিক নেই। তখন এলাকার মানুষজনই তিনটি গাড়ি ভর্তি রেল লাইন আটক করে খবর দেন নলহাটি জংশন রেল স্টেশন মাস্টারকে। খবর দেওয়া হয় নলহাটি থানায়। কিন্তু কেউ ঘটনাস্থলে আসেননি বলে অভিযোগ। যারা রেল লাইন তুলে গাড়িতে চাপান, সেই শ্রমিকরা জানান, নলহাটির বাসিন্দা শেখ ইনসান ও শেখ তাজিমুদ্দিন তাদের কাজে লাগিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত আরও এক ব্যক্তি নিজেকে রেলের ম্যানেজার বলে পরিচয় দেন। শেখ ইনসান ও শেখ তাজিমুদ্দিনকে সেখানে নিয়ে আসা হলে তিনি জানান, তিনি পরিত্যক্ত ওই রেল লাইন কিনে নিয়েছেন। কিন্তু তারাও প্রামাণ্য কোনও নথি দেখাতে না পারায়, তাদেরও আটকে রাখা হয়। এভাবে টানা পাঁচ ঘণ্টা চলার পরে পুলিশ এসে ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায় এবং রেল লাইন বোঝাই তিনটি গাড়ি আটক করে।