স্ত্রীকে খুন করে থানায় হাজির
মদ্যপ স্বামী
খায়রুল আনাম (সম্পাদক আয়না টেলি নিউজ)
বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে বীরভূমের বোলপুর থানায় ধীর পায়ে এসে হাজির হয় মধ্য বয়স্ক এক ব্যক্তি। থানায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে তিনি ভাবলেশহীনভাবেই বলেন, আমি স্ত্রীকে খুন করে আসছি, আমাকে গ্রেফতার করুন। এক ব্যক্তির মুখ থেকে সে কথা শুনে হকচকিয়ে যান থানায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। তিনি ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে, তাঁর নাম প্রসেনজিৎ বাগ্দী। বাড়ি নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামে। তিনি তাঁর স্ত্রী চিনু বাগ্দীকে রাত্রের দিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফেলেছেন মদের নেশায়। স্বঘোষিত খুনি প্রসেনজিৎ বাগ্দীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বোলপুর থানার পুলিশ বিষয়টি জানায় নানুর থানাকে। বোলপুর থানার পুলিশ প্রসেনজিতকে নিয়ে পৌঁছে যায় হাটসেরান্দি গ্রামে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় নানুর থানার পুলিশও। সেখানে তখন প্রসেনজিতের দুই নাবালক সন্তান মায়ের মৃতদেহ পাহারা দিয়ে বসে আছে। জানা যায় যে, নিম্ন আয়ের প্রসেনজিৎ প্রতি রাত্রেই মদ্যপান করে বাড়ি ফেরায় বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হতো। সামান্য যা আয় করতো তা মদ্যপানে ব্যয় করায় সংসারে অভাব লেগেই ছিলো। স্ত্রী ও সন্তানদের ঠিকমতো খাওয়ার ব্যবস্থাও সে করতো না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি লেগেই থাকতো। এদিন রাত্রেও সে মদ্যপান করে বাড়ি ফেরায় স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি বাধে। তখনই প্রসেনজিৎ স্ত্রী চিনুর গলা চেপে ধরলে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। তারপরই প্রসেনজিৎ বোলপুর থানা তাঁর গ্রাম থেকে কাছে হওয়ায় সে সেখানেই আত্ম সমর্পণ করতে আসে। এরপরই পুলিশ গ্রেফতার করে প্রসেনজিৎ বাগ্দীকে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে।।