স্মরণিকা প্রকাশ ও কবি প্রণাম অনুষ্ঠান রাইপুরে
। সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:——জঙ্গলমহলের রাইপুর সবুজ সংঘ আজ থেকে ৬৩ বছর আগে রাইপুর এলাকার কয়েকজন উদ্যোগী মানুষের উদ্যোগে ও বিশিষ্ট মানুষজনের সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিল। সেই সেদিনের চারা গাছ আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে। সেদিনের কয়েকজন যুবকের উদ্যোগ গড়ে তোলা সবুজ সংঘ আজ জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাব গুলির মধ্যে অন্যতম নাম । এই সবুজ সংঘের ৬৩ বছরের ইতিহাস নিয়ে একটি স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠান ও সাথে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো দুই দিন ধরে। অনুষ্ঠানে প্রভাত ফেরী স্মৃতিচারণা, সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, রক্তদান শিবির ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান হয় ক্লাব প্রাঙ্গনে।ক্লাব তৈরি করতে ও এলাকার যুবক যুবতীদের দেহে মনে বল তৈরি করতে সুস্থ থাকতে একটি ফুটবল মাঠের জন্য জমি দাতাদের সম্বর্ধনা জানানো হয় জমি দাতাদের মধ্যে অনেকেই আজ আর ইহলোকে নেই তাদের উত্তরসূরিদের হাতেও সেই সম্মাননা তুলে দেওয়া হয় যা ক্লাবের ইতিহাস একটি বিরল ঘটনা বলে সবুজ সংঘের বর্তমানসভাপতি কালাচাঁদ দত্ত জানালেন ।এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো ১৯৭৬ সালে জুন মাসে প্রচন্ড গরমে যখন বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম নয় নম্বর রাজ্য সড়কে কংসাবতী নদীর উপর গোবিন্দপ্রসাদ সিংহ সেতুর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায় তখন এই সংঘের উদ্যোগে সংঘের সদস্য সদস্যাবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই সেতু উদ্বোধনে আসা বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজনদের মুখে তুলে দিয়েছিলেন ঠান্ডা জল ,ছোলা ও গুড় যার মূলে ছিলেন মৃণাল কান্তি কুন্ডু ওরফে মন্টুদা। তিনি আজ আর নেই মূলত তারই উদ্যোগে ও চেষ্টায় এই সংঘের কার্যকলাপ সারা জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি এলাকার যুবক যুবতীদের মধ্যে সংস্কৃতি চর্চা ও স্বাস্থ্য চর্চার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। দীর্ঘদিন তিনি সংঘ কে ভালবেসে কাজ করে গেছেন বিনা পারিশ্রমিকে। সেই সময় আশির দশকে এলাকায় ব্রতচারীর প্রচার ও প্রসারে ও যুবক যুবতীদের স্বাস্থ্যচর্চায় তিনি ও তার সহযোগী বন্ধু শেখ জেরার হোসেন ,বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। অনুষ্ঠানে মৃণাল কান্তি কুন্ডু ওরফে মন্টু বাবুকেও বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। স্মরণ করা হয় ক্লাব তৈরিতে যাদের ভূমিকা ছিল সেই সমস্ত মানুষদের যারা আজ আর ইহলোকে নেই তাদের। স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী স্বপন কুমার মহাপাত্র, স্মরণিকা প্রকাশ ও রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন কমিটির সম্পাদক শিক্ষক বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা উদযাপন কমিটির সভাপতি তারাপদ মহাপাত্র, ডা: সাধুচরণ মন্ডল, ডা: শ্যামল কুমার দে, বিশিষ্ট শিক্ষক নন্দলাল মাহাত, অর্ধেন্দু মুখার্জি, প্রশান্ত দাস, ক্লাব সম্পাদক অজিত কুমার দত্ত, রঞ্জিত কুমার মিশ্র, বাবলু দত্ত, অশোক দে, তুহিন দত্ত উজ্জল কুন্ডু ,অনুপম সিং , তিমির গরাই,সহ বিশিষ্টরা।