মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
; শুক্রবার দুপুরে কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডলের এজলাসে এক খুনের মামলায় দুজন আসামীর যাবৎজীবন সাজাদান ঘটলো। আসামী দুজন এবং নিহত ব্যক্তি ছিলেন আপন ভাই। পারিবারিক বিবাদে রক্তাক্ত হওয়া ভাইকে পুড়িয়ে দেহ লোপাট করার অভিযোগ ছিল।যদিও নিহতের স্ত্রীর চিৎকারে পাড়াপ্রতিবেশিদের আগমনে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এদিন বিচারক ৩০২ ধারায় যাবৎজীবন সাজা সাথে ৫ হাজারের আর্থিক জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল। পাশাপাশি ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকার জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৩ মাসের জেল ঘোষণা করেন কালনা মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডল মহাশয়। আদালত সুত্রে প্রকাশ, ২০১৮ সালে ১৯ অক্টোবর গভীর রাতে দুর্গাপূজার বিসর্জন সেরে কালনার কেলেনোয়ি গ্রামে নিজ বাড়ি ফেরেন বিকাশ সর্দার। বিকাশ তার স্ত্রী সোনালী সর্দার কে সাথে নিয়ে গল্প করছিলেন সেইরাতে । এমতাবস্থায় পারিবারিক বিবাদে দুই ভাই অশোক সর্দার ও তাপস সর্দার এই দম্পতির উপর হামলা চালায় বাঁশ দিয়ে। জ্ঞানশুন্য রক্তাক্ত বিকাশ কে মৃত ভেবে দেহ লোপাটের উদ্দেশ্যে পাটকাঠি দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় দুই ভাই। এমতাবস্থায় জখমে আরেক আক্রান্ত অর্থাৎ বিকাশের স্ত্রী সোনালী সর্দার চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে পাড়া প্রতিবেশী হাজির হয়ে যায় ঘটনাস্থলে। দগ্ধ বিকাশ কে কালনা মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরেরদিন অর্থাৎ ২০১৮ সালে ২০ অক্টোবর কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের (কেস নাম্বার ৫৩০/১৮করেন নিহতের স্ত্রী। কালনা থানার পুলিশ অভিযুক্ত দুজন কে গ্রেপ্তার করে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়৷ ২০১৯ সালে ১৭ এপ্রিল এই মামলায় চার্জ গঠন হয়। এই মামলায় ১৮ জন সাক্ষ্যদান করেছিলেন। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত জিনিসগুলি বাজেয়াপ্ত ঘটে। চলতি বছরের ২১ আগস্ট এই মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন কালনা মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তপন কুমার মন্ডল মহাশ৷ শুক্রবার দুপুরে এই মামলায় আসামীদের যাবৎজীবন সাজা ঘোষণা করা হয়।
More Stories
ঈদে ঘুরতে গিয়ে মেমারিতে পথের বলি দুই
উড়িষ্যার নাবালিকা কে অপহরণ, ধৃত মঙ্গলকোটের ‘গুনধর’ যুবক
মঙ্গলকোটে সর্ববৃহৎ ইফতার মজলিস