গ্রাম্য পুজোর স্বাদ নিতে আবাসনে শুরু হয় দুর্গা পুজো। কলকাতা সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকার পাশাপাশি বিদেশে থাকা মানুষদের নিয়ে চার বছর আগে শুরু হয় অভিহীতা পরিবারের দুর্গা পুজো। এবছর এখানকার দুর্গা প্রতিমা নজর কেড়েছে লালামাটির বাসিন্দাদের।বীরভূম জেলার হেতমপুরের শিল্পী মূর্তি তৈরি করেছেন।পোড়া মাটির প্রতিমা এক অনন্য রূপ দিয়েছে প্রতিমার। সাবেকীয়ানা এক অনন্য রূপ পেয়েছে দেবী মূর্তি। দেবীকে কোন অলঙ্কার ও সাজ পড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে উদ্যোক্তারা।পাশাপাশি গ্রাম্য মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ।কলকাতা থেকে পুজোর এই চারটি দিন সবাই একত্রিত হয় মণ্ডপ চত্বরে।এখানকার অধিকাংশ পরিবারই আবাসিকের নিয়মিত বাসিন্দা নয়। তবুও এনারা সবাই একে অপর কে নিজেদের পরিবারেরই একটি অংশ মেনে নিয়েছেন, এবং ছুটে আসেন বাঙালিদের এই শ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে। আর এবারে, মায়ের আশীর্বাদে ও সকল পরিবারের সহযোগিতায়, এনাদের পুজোও অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই অভিনব আকার ধারণ করেছে।
দেশে ও বিদেশে থাকলেও পুজোর এই দিনগুলি সবাই এক সাথে মিলে মিশে দুর্গা পুজো পালন করেন।মণ্ডপ সজ্জা থেকে প্রতিমা বরণ সবাই নিজের হাতে করছেন কর্ম কর্তারা।হাতে গোনা কয়েকটা পরিবারকে নিয়ে ২০২১ সালে পথ চলা শুরু অভিহীতা পরিবারের।বর্তমানে শতাধিক পরিবার এই পুজোয় যোগ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পুজোর চারটি দিন খাওয়া থেকে পুজোর আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবটাই করেন নিজেরা। কলকাতা থেকে আগত অহনা চক্রবর্তী বলেন,শহরের পুজো হল একটা থিমের পুজো।আর এটা আমাদের নিজের পুজো।আজকে আসার পরে প্রতিমা বরণ করেছি আমরা।নিজের হাতে কাল থেকে পুজোর সব কাজ করবো।আজকে আসার পর পায়ে আলতা পড়েছি।সেই ছোট বেলায় কবে আলতা পড়েছি মনে নেই।এই পুজোর একটা আলাদা অনুভুতি এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।আর সব থেকে একটা বড় বিষয় হল এখানে কোন আবাসিক থাকেন না।কিন্তু এই দুর্গা পুজোর সময় সবাই ছুটে আসেন একটা কিছুর টানে।আর এক আবাসিক অভিনন্দা ভট্টাচার্য্য বলেন,অমরা কিছুদিন আগেই এখানে এসেছি শুনেছি খুব ভালো পুজো হয়।আমাদের বাড়িতেও দুর্গা পুজো হয় তাও অমরা এখানে দুই দিন বাড়িতে দুই দিন কাটাবো।এটাও তো আমদের বাড়ির পুজো।এখানে এসে সবার সাথে আলাপ পরিচয় হচ্ছে,খুব আনন্দ করছি।বাড়ি যেতে মন চাইছে না।
অভিহীতা পরিবারের দুর্গাপূজা নজর কাড়ছে
