‘আদালত উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার ফাইল পাঠানো  হয়েছে ‘,  ডিভিশন বেঞ্চ কে মুখ্যসচিব 

Spread the love

‘আদালত উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার ফাইল পাঠানো  হয়েছে ‘,  ডিভিশন বেঞ্চ কে মুখ্যসচিব 

মোল্লা জসিমউদ্দিন, 

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে আদালত উন্নয়ন নিয়ে মামলা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল মুখ্যসচিবকে। কলকাতা হাইকোর্টের  চাপের পরে নিম্ন আদালতগুলো ও হাইকোর্টের ১৪ টি প্রকল্পের বকেয়া ৫০ কোটি টাকা ছাড়ার জন্য অর্থ দফতরে কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।কিন্তু তাতে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি রাজ্য। কারণ বিচার বিভাগের থেকে আরও ৫৩ টি ফাইল পাঠানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। সেই গুলোর কবে ব্যবস্থা হবে?  তাই নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সাতদিন সময় চাইলেন মুখ্য সচিব।রাজ্যের কোনও জেলায় রেগুলার খরচের ফান্ড না থাকা নিয়ে মুখ্যসচিবকে কড়া ভৎসনার মুখে পরতে হল আদালতে। আদালতের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা জানিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সরকারের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছিল। কেন সে সব কাজ এগোয়নি, তা নিয়ে আগেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এর আগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দিয়ে তিনি কিছু সময় চেয়েছিলেন। বুধবার এই মামলায় হাজিরা দিলেন মুখ্যসচিব। আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির হয়ে জানান, -‘আদালত উন্নয়নের খাতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য’।হাইকোর্ট এবং বিভিন্ন নিম্ন আদালতের উন্নয়নমূলক কাজ আটকে রয়েছে। অর্থের অভাবে কোনও কাজ এগোনো যাচ্ছে না। রাজ্য সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ করছে? মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, যাবতীয় জেলা পাঁচ লাখ টাকা প্রশাসনিক কাজের জন্য দেওয়ার কথা। আড়াই লাখ দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা শেষ। বকেয়া টাকা মেটানোর কোনো লক্ষণ নেই। জেলায় নেট সিস্টেম বসে গেছে। সেই কাজ করা যাচ্ছে না। অফিস স্টেশনারি কেনারও টাকা নেই কোনও জেলায়। আন্দামানে একমাত্র আছে। সেটা আপনাদের মধ্যে পড়ে না। পেপার লেস হাইকোর্ট করার ব্যাপারটা কি হল? ফেব্রুয়ারি থেকে সেটা আটকে আছে।মুখ্য সচিব জানান, -‘আমরা দ্রুত করে দেবো। আমরা ক্লোজ মনিটর করছি:। বিচারপতি বলেন, -‘আমাদের জেলা ও হাইকোর্টে কর্মীর প্রয়োজন। আপনাদের কাগজ পাঠানো আছে। আপনাদের দুজন অফিসার সমন্বয়ের জন্য দেওয়ার কথা প্রশাসনিক বৈঠকে বলা হয়েছিল। তার কি হলো? যারা পেনসন সহ ব্যাপারগুলো দেখবেন’। মুখ্য সচিব জানান, -:এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা মমল আটকে আছে। পে কমিশন নিয়ে একটা মামলা চলছে’। বিচারপতি বলেন,-‘কি মামলা? আমরা জানি না। আপনার মনে হচ্ছে না, এমন নজরদারি বাঞ্ছনীয় নয়। কতদিন লাগবে ৫৩ টা ফাইল ছাড়তে? ‘বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে তড়িঘড়ি আদালত উন্নয়নের স্বার্থে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানান মুখ্যসচিব। অন্য বকেয়া প্রকল্পগুলি নিয়ে উত্তর দিতে আরও সাত দিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। আমি গোটা ব্যাপারটায় নিজে নজর রাখছি। বিচারপতি বলেন,-‘আপনি নিশ্চিত করুন আগামী শুনানিতে যেন আমাদের আপনাকে আর ডাকতে না হয়’। ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *