আবাস যোজনার সার্ভের কাজে অনিচ্ছুক জানিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিকট আশা কর্মীদের ডেপুটেশন

Spread the love

আবাস যোজনার সার্ভের কাজে অনিচ্ছুক জানিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিকট আশা কর্মীদের ডেপুটেশন

সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:-গর্ভবতী ও প্রসূতি মা, শিশু, কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূলত কাজ করে থাকে আশা কর্মীরা। কিন্তু এবার হটাৎ করে তাঁদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আবাস যোজনার জন্য ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে এবার আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সাথে সিভিক ভলিন্টিয়ার। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর থেকে রাজ্যের সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়ে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, আবাস প্লাস প্রকল্পের আওতায় যাঁরা যাঁরা গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি তৈরির সুবিধা পাবেন, তাঁদের তালিকা যাচাই করার জন্য আশাকর্মীদের কাজে লাগানো হবে।তড়িঘড়ি ব্লক পর্যায়ে ট্রেনিং করানো পর্যন্ত হয়ে যায়।কিন্তু এই কাজ করতে অনিচ্ছুক আশা কর্মীরা।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে ব্লক, জেলা থেকে শুরু করে রাজ্য পর্যন্ত পশ্চিম বঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে।সেই হিসেবে জেলার প্রতিটি ব্লকেই সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয়।
আশা কর্মীদের যে আবাস যোজনার সার্ভের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা আশা কর্মীরা করতে রাজি নয় বলে পরিস্কার জানিয়ে দেন।কর্মীদের দাবি আমাদের যখন নিয়োগ করা হয় তখন বলা হয়েছিল মা এবং শিশুর পরিষেবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এর বাইরে এসব কাজ কেন দেওয়া হচ্ছে। আবাস যোজনার যে তালিকা আগে থেকে তৈরি হয়েই আছে আর যদি দিতে হয় আমাদের তাহলে আগে কেন দিল না। আশা কর্মীরা যখন হাঁড়ির খবর পর্যন্ত রাখে তাহলে তাঁরাই তো জানবে কে পাওয়ার যোগ্য এবং কে পাওয়ার যোগ্য নয়। আবাস যোজনার তালিকা যদি তৈরি হয়েই আসে এবং সেই তালিকা থেকে যদি কোনো বাড়ি বাদ পড়ে যায় তাহলে তো আমাদের ওপরে আক্রমণ হবে, এমনই আশঙ্কা সকলের কাছে।মঙ্গলবার এআইইউটিইউসি প্রভাবিত পশ্চিম বঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সার্ভের কাজে অনিচ্ছুক জানিয়ে বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও রামপুরহাট জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর দুটিতেই একযোগে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। সংগঠনের জেলা নেত্রীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর কে পেয়েছে কে পায়নি, অর্থ সঠিক ভাবে বন্টন হয়েছে কিনা, কার কত টাকা বরাদ্দ, কে কত পেল না পেল এই সমস্ত সার্ভে করতে গেলে আশা কর্মীদের তার এলাকায় হেনস্থার মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এরূপ পরিস্থিতিতে আশা কর্মীদের চাপের মুখে ঠেলে দেওয়া কোনো ভাবেই ঠিক হবে না। জেলার দুই প্রান্তে ডেপুটেশন প্রদান কালে নেতৃত্বে ছিলেন এআইইউটিইউসি র জেলা সম্পাদিকা আয়েশা খাতুন। সিউড়িতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন সংগঠনের পক্ষে মাধবী সিংহ,মৌসুমি দাস, কেকা গোস্বামী। রামপুরহাটের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন অশ্রুকণা সাহা, গুলচেহার খাতুন, জবা দত্ত, অপর্ণা মন্ডল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *