এক মাস নিখোঁজ থাকার পর কাঁকড়তলা পুলিশের সহায়তায় ফিরে পেলো পরিবার
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
গত প্রায় একমাস আগে নিখোঁজ হয়ে যায় বিহারের নালন্দা জেলার বাসিন্দা রাম কুমার।পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করলেও কোনো রকম সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত ১৬ ই আগষ্ট কাঁকরতলা থানার হযরতপুর বাস স্ট্যান্ডে একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে লক্ষ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয় থানার পুলিশ।যিনি হিন্দিতে অস্পষ্টভাবে কথা বললেও পুরো নাম, ঠিকানা বলতে অক্ষম। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে বুঝতে পারেন যে সে বিহারের নালন্দা জেলার বাসিন্দা সামু কুমার।
থানার পক্ষ থেকে এই তথ্য সর্বত্র প্রচারের পাশাপাশি অন্যান্য উপায়ও প্রয়োগ করেন। ১৬ই আগস্ট নিখোঁজ থাকার
ভাই রামু কুমারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে সামু।তাকে খুঁজে বের করার জন্য দিল্লিতে ছিলেন তার ভাই।
খবর পাওয়ার পর, তার ভাই রামু কুমার তৎক্ষণাৎ ১৯ শে আগষ্ট মঙ্গলবার দিল্লি থেকে এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন এবং তাকে তার বড় ভাই রামু কুমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যিনি আসলে সামুর যমজ বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পর থানা চত্বরে তার স্নান, চুল,দাড়ি কাটানো,খাবার, নতুন পোশাক ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছিলেন। এদিন নিখোঁজ ব্যক্তিকে নিতে আসা তার তার জমজ ভাই মারফত জানা যায় যে তাদের গ্রাম – চামুরবিঘা, থানা হিলসা, জেলা- নালন্দা, বিহার থেকেই নিখোঁজ হয়েছিল । পুলিশের সহায়তা থেকে শুরু করে সেবাযত্ন ইত্যাদির জন্য নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার কতৃক কাঁকরতলা থানার ওসি সহ পুলিশ সিভিক ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি জিডিও দায়ের করার পাশাপাশি অনুসন্ধান শুরু করা হয়।
তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে বের করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। দিল্লিতেও বিভিন্ন জেলা এবং রাজ্য জুড়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।
যাইহোক, এক মাস ধরে অনুসন্ধানের পর অবশেষে সামু কুমার তার পরিবারের সাথে মিলিত হয়েছেন কাঁকরতলা থানার সহায়তায়।