গুসকরা শহর তৃণমূলের উদ্যোগে পালিত হলো বিজয়া-সম্মিলনী
সৌভিক সিকদার,গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান-:
বিজয়া সম্মিলনী, হয়ে গেল বিজেপি বিরোধী প্রচার এবং একইসঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সম্পর্কে সচেতন বার্তা। হবেই বা না কেন, সামনে কয়েক হাজার দলীয় কর্মী এবং মঞ্চে একাধিক প্রথম সারির নেতা থাকলে তার একটা প্রভাব তো হবেই!
হাল্কা চালে শুরুটা করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত শ্যাম। তাকে একটু এগিয়ে দিলেন পুরপ্রধান কুশল মুখার্জ্জী এবং সপ্তমে তুলে নিয়ে গেলেন সাংসদ অসিত মাল। নিজস্ব পরিচিত ভঙ্গিতে তথ্য সহ কিভাবে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের বিরুদ্ধে গত চার বছর ধরে আর্থিক বঞ্চনা করে চলেছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি পুরপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অন্যদিকে অপর সাংসদ ডা. শর্মিলা সরকার শান্ত গলায় রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য কি কি কাজ করেছে ও করতে চলেছে সেই তথ্য তুলে ধরেন।
এই সম্মিলনীর মূল সুর ছিল, এর মধ্যে দিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হলো। আসন্ন বিধানসভা ভোটে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে বিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করা।
'বারো মাসে তেরো পার্বণ' বাঙালির অন্যতম উৎসব হলো বিজয়া সম্মিলনী। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পর বাঙালির ছোটদের প্রতি প্রীতি, গুরুজনদের প্রণাম ও সমবয়সীদের আলিঙ্গন ইত্যাদির মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাবার উৎসব হলো বিজয়া সম্মিলনী। মূলত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজয়া সম্মেলনীকে সামনে রেখেই গোটা রাজ্যের জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসাবে ৭ ই অক্টোবর গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিদ্যাসাগর হলের সামনের উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন ও ড. শর্মিলা সরকার, স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত শ্যাম সহ প্রতিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলার ও ওয়ার্ড সভাপতি, মহিলা, ছাত্র সহ সমস্ত শাখা সংগঠনের সভাপতি এবং ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগম ও চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী, শহর সভাপতি মল্লিকা চোংদার সহ আরও অনেকে। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
উপস্থিত অতিথিদের হাতে ফুলের স্তবক তুলে দিয়ে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলার সুব্রত শ্যাম। যথারীতি সঞ্চালনার ফাঁকে ফাঁকে তার ছোট ছোট টিপ্পনি যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল।