গেরাই গ্রামে শুরু হল ‘একতারা’ হাট — প্রতি শুক্রবার বসবে ফুটবল মাঠে এই হাট।

Spread the love

গেরাই গ্রামে শুরু হল ‘একতারা’ হাট — প্রতি শুক্রবার বসবে ফুটবল মাঠে এই হাট।

প্রত্যুষ চক্রবর্তী ,


শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হল গেরাই গ্রামের এই নতুন হাটের। সাংস্কৃতিক আবহের প্রতীক হিসেবে হাটের নামকরণ করা হয়েছে ‘একতারা’। এদিন উদ্বোধন করেন আউশগ্রাম-২ ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আব্দুল লালন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব নেতা আফজল রহমান,লেখক রাধামাধব মন্ডল সহ এলাকার বিশিষ্ঠ ব্যক্তিরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে এই হাট চালু করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, গেরাই ও আশপাশের গ্রামের মানুষ যাতে স্থানীয় পণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও কৃষিজ দ্রব্য এক জায়গায় পাওয়া যায়, পাসাপাসি বাইরের বিক্রেতারা তাঁদের পণ্য নিয়ে এসে এই হাটে বিক্রি করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
হাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার গেরাই ফুটবল মাঠে বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত হাট চলবে।
উদ্বোধনের দিন থেকেই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য ভিড় দেখা যায়। আয়োজকরা আশা করছেন, ‘একতারা’ হাট আগামী দিনে গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও সচল করবে এবং গেরাইকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। ব্লক সভাপতি আব্দুল লালন বলেন,এলাকার মানুষের অনেকদিনের দাবি ছিল এই হাটের। প্রতন্ত্য গ্রামের মানুষ কলকাতা বা বর্ধমান গিয়ে কেনাকাটা করতে পারে না।আর এত দূরে গিয়ে কেনাকাটা করতে অনেকতা সময় চলে যায়।আবার অনেকটা খরচ ও হয়ে যায়। তাই অমরা এই ধরনের একটা হাট চালু করলাম এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য।
এলাকার বাসিন্দা লেখক রাধামাধব মন্ডল বলেন,
আউশগ্রামের গড় কেল্লা জঙ্গল লাগাওয়া প্রাচীন গ্রাম সেখানে জঙ্গল লাগোয়া একটি মাঠে এই যে অভিনব আয়োজন এবং গ্রামীণ মহিলাদের অংশগ্রহণ মূলত সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলারা বাড়ির বাইরে এসে নিজেরা দেখে কেনাকাটার যে একটা আনন্দ নিকেতন তৈরি হয়েছে টা অভিনব।
জেলা যুব নেতা আফজল রহমান বলেন, গ্রামীন এই হাটকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আমার আশা শুধু তাই নয় মহিলাদের হাতে বানানো নানা রকম ঘর সাজানো জিনিস তারা বিক্রি করে সংসারে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ বজায় রাখতে পারবে। এর জন্যই মহিলাদের আত্ম বিকাশের কেন্দ্র করে এই হাটকে গড়ে তোলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *