ছাত্রছাত্রীদের হাতেকলমে দেখানো হলো চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপন

Spread the love

ছাত্রছাত্রীদের হাতেকলমে দেখানো হলো চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপন

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী

সমগ্র বিশ্বকে চমকে দিয়ে ২০২৩ সালের ১৪ ই জুলাই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো চাঁদ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিষ্কার করার জন্য মহাকাশে চন্দ্রযান-৩ পাঠায়। শুধু বিজ্ঞানী বা ভারতবাসী নয় সমগ্র বিশ্বের উৎসাহি মানুষ চোখ রেখেছিল টিভির পর্দায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্যদের সৌজন্যে ওরাও চোখ রাখার সুযোগ পেয়েছিল টিভির পর্দায়। ওরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী।

 টিভির পর্দায় ওদের কল্পনার শিশুমন অবাক হয়ে দেখেছিল 'চাঁদমামা টিপ দিয়ে যা' চাঁদে পৌঁছে গেছে চন্দ্রযান। কিন্তু বিশ্বাস হয়নি। অবশেষে বর্তমান শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ গত ২ রা জানুয়ারি শিক্ষা বিষয়ক নানা অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গে ওদের  'মডেলের' মাধ্যমে দেখানো হয় কিভাবে চন্দ্রযান-৩ তাদের কল্পনার চাঁদে গেছে। 

জল ও বায়ুর চাপকে ব্যবহার করে মারেভেনিয়াস বিথানি বিদ্যানিকেতনের অধ্যক্ষ ফাদার এভিন চন্দ্রযান-৩ এর মডেলটি তৈরি করেন। নিজে উপস্থিত থেকে    ছাত্রছাত্রীদের সামনে মডেলটির সফল উৎক্ষেপণ প্রদর্শন করেন। প্রায় ৬০-৬৫ ফুট উপরে মডেলটি উড়ে যায়। শুধু শিক্ষার্থীরা নয় উপস্থিত প্রত্যেকেই অবাক হয়ে যান ও আনন্দে হাততালি দিয়ে ওঠে।  

পাশাপাশি বিদ্যালয়ের যে সব শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শ্রেণী থেকে পাশ করে পঞ্চম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হল আজ তাদের হাতে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট, কম্বল ও একটি করে স্মারক প্রদান করা হয়। শিশু শ্রেণীর নবাগত শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় টেডি বিয়ার। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দেওয়া হল পেন্সিল, রাবার, শার্পনার ও স্কেল। এছাড়া তাদের জন্য মধ্যাহ্নভোজেরও ব্যবস্থা করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বললেন- ওদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করেছিলাম ঠিকই, তবুও ওদের মনে একটা কৌতূহল থেকে গিয়েছিল। ওদের বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে চন্দ্রযান-৩ চাঁদে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফাদার এভিনের সৌজন্যে তাদের সেই কৌতূহলের নিরসন হলো। আমরা খুব খুশি। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফাদার এভিনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *