দীর্ঘ ৪৪ বছর পর খুনের অভিযোগে ১৩ জনকে সাজার জন্য আটকে দেয় আদালত

Spread the love

দীর্ঘ ৪৪ বছর পর খুনের অভিযোগে ১৩ জনকে সাজার জন্য আটকে দেয় আদালত

সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম:- ” বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে”- সেটা দেরিতে হলেও বিচার সঠিক পথেই হয়েছে বলে স্বজন হারানো পরিবারের ও তাদের আইনজীবীর বক্তব্য। শুক্রবার সিউড়ি অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত ৯ জনকে খুনের অভিযোগে ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আটকে দেয় এবং আগামী সোমবার তাদের সাজা ঘোষণা হবে বলে সরকারি আইনজীবী সূত্রে খবর। জানা যায় ১৯৮১ সালের ৮ই আগস্ট তৎকালীন ময়ূরেশ্বর থানার কোর্ট গ্রামে খুন হয় তরতাজা নয়জন যুবক। খুন হয়ে যাওয়া নয় যুবক রামপুরহাটের মাড়গ্রামের বাসিন্দা। সেই খুনের ঘটনায় কোর্ট গ্রামের ৭২ জনের নামে মামলা দায়ের হয় ময়ূরেশ্বর থানায়। পুলিশ বাহাত্তর জনকে গ্রেপ্তারও করে। গত দুমাস যাবত স্বাক্ষী গ্রহন চলছিল। একজন পুলিশ অফিসার ও একজন ডাক্তার সহ মোট ৮ জন সাক্ষ্যদান করেন। খুনের দায়ে অভিযুক্ত ৭২ জনের মধ্যে অনেকেই মারা যান। ৫২ জনের মত জীবিত ছিলেন। যারমধ্যে এদিন শুক্রবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কোর্ট গ্রাম থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মাড়গ্রাম থেকে একটি পরিবার ও ছয় যুবক এবং ওই গ্রামের আরো তিন যুবক কোর্ট গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি, এমনকি হাতাহাতি।অবস্থা বেগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত প্রাণভয়ে ওই নয় যুবক স্থানীয় একটা বাড়িতে আশ্রয় নেয়।সেখানে তাদের পিছন ধাওয়া করে গ্রামবাসীরা এবং সেই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ না হওয়ায় বাড়িটির মধ্যে লংকাগুড়ো ছড়িয়ে দেওয়ার দিলে একে একে বাড়ির বাইরে বের হতেই কুপিয়ে খুন করা হয় পরপর নয় জনকেই। যাদের মধ্যে নূর হোসেন, শাহজামাল শেখ, আলী হোসেন সহ মোট ৯ জনকেই কুপিয়ে খুন করা হয় সেদিন।দীর্ঘ ৪৪ বছর মামলা চলছিল। যার মধ্যে অনেকেই সাক্ষী দিতে আসেনি।এছাড়া মামলা ফিরে এসেছে হাইকোর্ট থেকে নিন্ম কোটে, যার পরিপ্রেক্ষিতেই মামলা দীর্ঘদিন ধরে চলে বলে আইনজীবীদের সূত্রে খবর। নিহতদের পক্ষ থেকে এসএম বদিউজ্জামান জানান নিহত নয়জনের মধ্যে ৬ জন সহোদর ভাই,বাকি তিনজন মামাতো চাচাতো ভাই বলে জানান। এছাড়াও আজকে কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে তাদের আইনজীবী সহ তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *