দুর্গোৎসবে অভিনব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল কলকাতা, উদ্যোগে Swiggy।
যখন ভিড় ঠেলাঠেলি করে মণ্ডপে যাওয়া সম্ভব নয়, তখন মণ্ডপই হাজির হল ঘরে।
এ বার দুর্গোৎসবে এমনই অভিনব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হল কলকাতা, উদ্যোগে Swiggy।
‘শ্রেষ্ঠ পুজো ২.০’— দ্বিতীয় বছরে পা দেওয়া এই ডিজিটাল প্রতিযোগিতায় নতুন করে ধরা দিল পুজোর শহর। গতবারের সাফল্যের পর এ বারও আয়োজন করেছিল Swiggy। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলল প্রতিযোগিতা। শহরের পঞ্চাশেরও বেশি নামী পুজো এতে যোগ দেয়। প্রতিটি মণ্ডপের শিল্পকলা, ঐতিহ্য ও রীতিনীতি তুলে ধরা হয়েছিল Swiggy অ্যাপের বিশেষ বিভাগে। দর্শকরা নিজেদের পছন্দের মণ্ডপে ভোট দেন এবং পান ৫০ টাকা Swiggy Cash, যা ব্যবহারযোগ্য ছিল তাঁদের পরবর্তী অর্ডারে।
ফলে, যাঁরা ভিড় এড়িয়ে ঘরে বসে উৎসব উপভোগ করতে চেয়েছেন, প্রবীণ নাগরিক থেকে শুরু করে শহরের বাইরে থাকা বাঙালিরাও পেলেন কলকাতার দুর্গোৎসবের স্বাদ।
২ অক্টোবর বিজয়ীদের ঘোষণা করা হয় বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
🏆 প্রথম স্থান: অর্জুনপুর ‘আমরা সবাই ক্লাব’ — পুরস্কার ₹৫ লক্ষ
🥈 দ্বিতীয় স্থান: অজেয় সংঘতি ক্লাব — পুরস্কার ₹২ লক্ষ
🥉 তৃতীয় স্থান: দমদম পার্ক ভারতচক্র ক্লাব — পুরস্কার ₹১ লক্ষ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্র। Swiggy-র তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট (Scenes) সুপ্রিয়া শঙ্কর ও সংস্থার সদস্যরা সরাসরি গিয়ে বিজয়ী মণ্ডপগুলির আয়োজকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সংবর্ধনার আবহ মিলেমিশে যায় বিজয়া দশমীর রঙে। ক্লাবের সদস্য, Swiggy-র প্রতিনিধি ও স্থানীয়রা একসঙ্গে অংশ নেন সিঁদুর খেলায়। দেবীর বিদায়ের মুহূর্তে আবেগ আর আনন্দে ভরে ওঠে চারপাশ।
প্রযুক্তি আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে Swiggy-র এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই বাঙালির মনে দাগ কাটতে শুরু করেছে। ঘরে বসে কলকাতার সেরা পুজো উপভোগের সুযোগ করে দিয়ে, দুর্গোৎসবকে আরও অন্তরঙ্গ ও সর্বজনীন করে তুলেছে ‘শ্রেষ্ঠ পুজো ২.০’।