পুলিশের মহিলা কনস্টেবলকে নগ্ন ভিডিও
মুম্বাই পুলিশের হাতে গ্রেফতার বীরভূমের যুবক
খায়রুল আনাম
হাতে মোবাইল। আর তা নিয়েই বেশিরভাগ সময় কাটাতো বীরভূমের খয়রাশোল থানার পুরশুণ্ডা গ্রামের যুবক শ্রীকান্ত রুইদাস। আর মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়েই একটি নম্বরে তাঁর যোগাযোগ হয়ে যায় এক মহিলার। তারপরই শ্রীকান্ত রুইদাস ওই মহিলাকে বিভিন্ন ধরনের নগ্ন ছবির ভিডিও পাঠাতে শুরু করে। এক সময় নগ্ন ছবির ভিডিও পাঠানোটা মাত্রাছাড়া হয়ে যায়। এমন কী, শ্রীকান্ত রুইদাস জানতেনই না যে, ওই মহিলা আসলে মুম্বাই পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবল। ওই মহিলা কনস্টেবল মোবাইলের টাওয়ার লোকশন করে জানতে পারেন যে, ওই ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের খয়রাশোল থানার পুরশুণ্ডা গ্রামে রয়েছেন। এরপরই মুম্বাই পুলিশের একটি দল সোমবার ২৫ ডিসেম্বর খয়রাশোল থানায় পৌঁছে যায়। তারপর রাত্রেই হানা দেওয়া হয় পুরশুণ্ডা গ্রামে শ্রীকান্ত রুইদাসের বাড়িতে। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় খয়রাশোল থানায়। মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর ধৃতকে হাজির করানো হয় দুবরাজপুর আদালতে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৩০ আইপিসি, ৬৭-এ ও ৬৭-ডি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। দুবরাজপুর আদালত মুম্বাই পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে ধৃতকে ট্রানজিট রিমাণ্ডে মুম্বাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রীকান্ত রুইদাসকে মুম্বাই মেট্রোপলিটন আদালতে তোলার নির্দেশ দেয়। এরপরই মুম্বাই পুলিশ তাঁকে নিয়ে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এদিন আদালত চত্বরে শ্রীকান্ত রুইদাস মুম্বাইয়ের ওই মহিলা ট্রাফিক কনস্টেবলকে নগ্ন ভিডিও পাঠাবার কথা স্বীকারও করেছেন।।