পুলিশ বাহিনীর উপর হামলার জেরে ১৬ জন গ্রামবাসী আটক, মল্লারপুর থানায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম:- পড়শী দুটি পরিবারের মধ্যে দফায় দফায় ঝামেলা।সেই ঝামেলার মধ্যে খানে পড়ে কর্তব্যরত ১০ জন পুলিশকর্মীর মধ্যে কমবেশি সকলেই জখম হন। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বীরভূমের মল্লারপুর থানার বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাথাই গ্রামে।জানা যায় যে, দুটি পরিবারের মধ্যে পরপর দুই দিন ধরে ঝামেলা চলছিল। স্থানীয় থানার পুলিশ সেই ঘটনার জেরে গ্রামে আসেন এবং গ্রামবাসীদের সাথে কথোপকথনের মধ্যে হটাৎ ইট বৃষ্টি ও লাঠি নিয়ে গ্রামবাসীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
যদিও গ্রামবাসীদের বক্তব্য পুলিশ একজন নিরীহ ব্যাক্তিকে আগেই চড় মারে।সেই বচসা থেকে পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে গন্ডগোলের সৃষ্টি। এক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে পিছু হটতে বাধ্য হন ৮-১০ জন পুলিশকর্মীর একটি দল। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হলেন পুলিশের এক এএসআই। লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হন তিন পুলিশ সাথে অন্যান্যরা ও কমবেশি সকলেই আঘাতপ্রাপ্ত হন। মারমুখী গ্রামবাসীদের আক্রমণের মুখ থেকে কোনও ক্রমে সেই মুহুর্তে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।। জখম এএসআইয়ের মাথায় ২৮টি সেলাই পড়ে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় অন্যান্য পুলিশকর্মীদেরও। সূত্রের খবর ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পাথাই গ্রামে অশান্তি এবং সে থেকে গ্রামে উত্তেজনার খবর পেয়ে মল্লারপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয়দের বক্তব্য শোনার পর পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে গেলেই অশান্তি বাড়ে।তখনই গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের।আর শুরু হয় তাতেই বিপত্তি।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মল্লারপুর থানার পুলিশ প্রায় ১৬ জন অভিযুক্ত গ্রামবাসীদের আটক করে।শুক্রবার তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ জনের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে এবং বাকিদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানা যায়।