সুরজ প্রসাদ,
পরিযায়ী শ্রমিক ও আমপানে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য নির্ধারিত ফুড কুপন বিলিতে অনিয়ম ও স্বজনপোষণ। প্রতিবাদে এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক ও বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিল।ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। সোমবার মেমারির দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এলাকার বাসিন্দারা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে প্রধান শিখা রায়ের কাছে ফুড কুপন বিলির অনিয়মের নালিশ করতে যান।কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও প্রধানের দেখা মেলেনি। এরপর ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা উপপ্রধান নিতাই ঘোষ সহ অন্যান্য সদস্যদের অফিসের বাইরে বের করে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।গ্রামবাসিদের অভিযোগ গত দু’বছর ধরে এলাকায় কোন কাজ হয় নি। না রাস্তার কাজ হয়েছে, না অন্য কোন কাজ হয়েছে। পঞ্চায়েত অফিসে কোন টেণ্ডার নোটিশ পর্যন্ত টাঙানো হয় নি।পাশাপাশি তাঁদের আরো অভিযোগ যাঁরা প্রকৃত পরিযায়ী শ্রমিক, যাঁরা ভিনরাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। তাঁদের ফুড কুপন বিলি না করে প্রধান খুশি মত ও পছন্দ মত লোকেদের ফুড কুপন বিলি করেছে।এলাকায় যাঁরা প্রকৃত আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা কেউই ক্ষতিপূরণ পায় নি।এখানেও স্বজনপোষণের অভিযোগ করেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন উপপ্রধান নিতাই ঘোষও।তাঁরাও একই অভিযোগ প্রধান নিজের খেয়াল খুশী মত কাজ করছেন। উপপ্রধান বা অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও আলোচনা না করেই ফুড কুপন বিলি করেছে প্রধান। উপপ্রধানের আরো অভিযোগ তাঁর নিজের সংসদে ফুড কুপন বিলি করা হয়েছে তাঁকে কিছু না জানিয়েই। যদিও এই বিষয়ে প্রধান শিখা রায়ের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।