ফের বিতর্কে সেই পুলিশ অফিসার আশরাফুল

Spread the love

খায়রুল আনাম,

বীরভূম : আবারও বিতর্কে জড়ালেন পুলিশ কর্মী শেখ আশরাফুল। জেলার নানুর ব্লকের কীর্ণাহার থানার ওসি থাকাকালীন শেখ আশরাফুল স্থানীয় দুই গ্রামবাসীর বৈষয়িক বিষয়ে বিবাদে এক বৃদ্ধ দম্পতিকে থানায় নিয়ে এসে মারধর করেন ও মোটা টাকা নেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দম্পতি বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানোর পরে বিষয়টি নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের পরে শেখ আশরাফুলকে ওসির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সিউড়ীতে ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি করে পাঠানো হয়ে। এবার তিনি নিজের বিয়ে উপলক্ষ্যে ছুটি নিয়ে তার মুর্শিদাবাদের লালবাগের বাড়িতে যান। দু’দিন আগে বিয়ের পরে তার মা অসুস্থ হয়ে সেখানকার কৃষ্ণপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী শেখ আশরাফুল তার নববিবাহিতা স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাসপাতালে মাকে দেখতে গিয়ে সেখানে কর্ত্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। ওই সময় শেখ আশরাফুল মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করলে নার্স ও চিকিৎসকরা বাধা দিতে এলে তারাও শেখ আশরাফুলের হাতে মার খান বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে লালগোলা থানার ওসি অতনু দাস, সাব-ইন্সপেক্টর কল্যাণ সাধন সিংহ হাসপাতালে গেলে তারাও শেখ আশরাফুলের হাতে মার খান বলে অভিযোগ। এরপরই অন্য পুলিশ কর্মীরা গিয়ে শেখ আশরাফুল, তার নববিবাহিতা স্ত্রী-সহ ৬ জনকে থানায় নিয়ে আসেন। সেখানে শেখ আশরাফুল নিজেকে সিউড়ী থানার ওসি বলে দাবি করে ‘চোটপাট’ চালাতে থাকেন। লালগোলা থানা সিউড়ী থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারে যে, শেখ আশরাফুল থানার ওসি নন। ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি। তার অতীতও সামনে আসে। এরপরই শেখ আশরাফুল, তার নববিবাহিত স্ত্রী -সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, শেখ আশরাফুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *