বারাবনি ব্লক এলাকায় হাতরাশ গণধর্ষণ মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল
কাজল মিত্র,
: – উত্তরপ্রদেশ হাথ্রাস গণধর্ষণ মামলার বাড়াবনি ব্লকের দোমহানি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে বরবানী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস এসসিএসটি সেল এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় । এই মিছিলটি অসিত সিং এর নেতৃত্বে দোমহানি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে বারাবনি বাজার হয়ে পুনরায় ফুটবল গ্রাউন্ডে শেষ হয় ।এসসিএসটি সেল তৃণমূলের নেতৃত্বে এই শোভাযাত্রায় এই অঞ্চলের কয়েক হাজার সমর্থক পায়ে পা মেলান । এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয় মোদি হাটাও দেশ বাঁচাও ।
এ উপলক্ষে অসিত সিং জানান যে উত্তরপ্রদেশ হাথ্রাস গণধর্ষণ মামলার পরে পুলিশের উপস্থিতিতে মাঝ রাতে ১৯ বছরের এক যুবতীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে আজ বরবানি ব্লকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯ বছর বয়সী এক দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা তার জীব কেটে ফেলেছিল। হাথ্রাসের ঘটনার পরে বেটি বাঁচাও বেটি পরাও এর স্লোগান দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন চুপ করে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ধর্ষণ মামলার দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার এর নির্দেশে সেখান কার পুলিশ রাতের অন্ধকারে ওই যুবতীর দেহ জ্বালিয়ে দিয়ে তথ্য ও প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল।তাছাড়া যখন সেখানকার সংগবাদিক রা পরিবারের সাথে কথা বলতে চাই তাদের যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্য নাথ এক ছদ্দবেশে সন্যাস ধারণ করে রয়েছে ।তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেন কিন্তু উত্তরপ্রদেশের হ্যাত্রাস গ্রামের এক দলিত যুবতীকে নিসংশ ভাবে ধর্ষণ করার পর যখন মারা গিয়েছিল তখন তার দেহটি পরিবারকে দেওয়া হলনা ।পরিবারের লোকেদের ঘরে বন্দি করে লুকিয়ে দেহটি জ্বালিয়ে দিল ।পরিবারের লোকেরা দেহটি চেয়েছিল তাদের হিন্দু রীতিনীতি মেনেই তাদের মেয়ের শেষ বিদায় জানাবে কিন্তু হিন্দু ধর্মের তোয়াক্কা নাকরে জানোয়ারের মত কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দিল ।যাতে সকল তথ্য লোপাট হয়েযায় ।কিন্তু সমস্ত ভারতবাসী ওই যুবতীর পরিবারের পাশে আছে ।দোষীদের শাস্তি সহ যেভাবে দিনের পর দিন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের প্রতি দুষ্কর্ম কর হচ্ছে তার ধিক্কার জানাই ।আর দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করা হবে। এদিন বারাবনি ব্লক তৃণমূলের যুব সভাপতি পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায়, সাধারণ সচিব সন্তোষ সিং, জেলা পরিষদের সদস্য পূজা মাণ্ডি, সিন্টু ভূইয়া, দিপেন বাউরি,সহ সহস্র নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।