বালিচুরি রুখতে তৎপর মঙ্গলকোট পুলিশ
মোল্লা জসিমউদ্দিন ,
চোরাই গাড়ি উদ্ধারের পর এবার অজয় নদের বালিলুট রুখতে তৎপর পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীররাতে উত্তর-পূর্ব মঙ্গলকোট এলাকায় সড়কপথে কড়া নজরদারির মধ্যে ৭ টি বালি ভর্তি গাড়ি পাকরাও করলো স্থানীয় থানার পুলিশ। এইসব গাড়িগুলি থেকে বালি নিয়ে যাওয়ার কোন অনুমতি ছিলনা বলে জানিয়েছেন মঙ্গলকোট থানার আইসি মধুসূদন ঘোষ। জানা গেছে, দুটি ফৌজদারি মামলা রুজু হয়েছে। কোয়ারপুর এলাকা থেকে গাড়ি গুলি আটক রয়েছে থানায়।বেশ কয়েকদিন আগেই আউশগ্রাম এলাকা থেকে এক চুরি হয়ে যাওয়া গাড়ি কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার করে থাকে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। নবাগত আইসি পদে যিনি এসেছেন তিনি অপরাধ দমনে অত্যন্ত তৎপর বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন।মঙ্গলকোটের প্রায় কুড়ি কিমি দীর্ঘ অজয় নদের মধ্যে রয়েছে অনেক গুলি বালিঘাট।কোন ঘাটের লিজ শেষ হয়েছে? কোন ঘাটে কত পরিমাণ বালি উত্তোলন করার অনুমতি আছে? তার বিস্তারিত তথ্য থাকে ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাছে।তাই সেইসব তথ্য পুলিশ কে জানালে সড়কপথে অভিযান চালাতে সুবিধা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আবার অজয় নদে এপারে যেমন পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট রয়েছে, ঠিক তেমনি অজয় নদের ওপারে রয়েছে বীরভূমের নানুর। অজয় নদের জলের ধারা বছরের বেশিরভাগ সময় কম থাকায় নানুর এলাকার বালিলুটেরারা মঙ্গলকোট সীমানায় বালি চুরি করে। এরফলে মঙ্গলকোট এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলকোট পুলিশ সোর্স মারফত খবর পেলে অত্যন্ত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন -‘ ভুমি সংস্কার দপ্তর বালিঘাট নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য ( লিজ,পরিমাণ ইত্যাদি) যথাসময়ে পুলিশ কে দিলে বালিলুটে প্রকোপ অনেকটাই কমবে’।