মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
আজ সকাল থেকেই শুরু হচ্ছে একুশে বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থদফার ভোটগ্রহণ। আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুটি প্রকাশ্য জনসভা রয়েছে উত্তরবঙ্গের মাটিতে। যার মধ্যে শিলিগুড়ির সভাটি অন্যতম। বিজেপির এই দুটি সভাতেই থাকার সম্ভাবনা প্রবল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।জানা গেছে, গত বুধবারে কুচবিহারের শীতলকুচিতে শাসক দল তৃণমূলের সশস্ত্র হামলায় আহত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েক জন গেরুয়া কর্মী সমর্থক। যদিও তৃনমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় দশের বেশি অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করেছে। বুধবারের হামলার ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুব দ্রুত পৌঁছে যায়। ডান হাতে চোট পাওয়া দিলীপ ঘোষ কে আজ অর্থাৎ শনিবারে প্রধানমন্ত্রীর দুটি সভাতেই থাকতে বলা হয়েছে বলে প্রকাশ। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে – ‘হাওড়ায় দলীয় প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত, ভবানীপুরের দলীয় প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ যেভাবে পরপর শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হয়েছে।সেখানে আক্রান্ত আবার দলেরই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাই উত্তরবঙ্গে থাকা দিলীপ ঘোষ কে প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রীর জনসভা তে থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে তৃনমূলের লাগাদার হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারেন মোদীজি’। যেভাবে দিলীপ বাবু আক্রান্তের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকবার ডাক পেলেন, তাতে দিলীপের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বাড়তি আগ্রহ নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। গত ২০ মার্চ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের একদা বিধানসভা কেন্দ্র খড়্গপুরে গেরুয়া প্রার্থী তথা টলিউড অভিনেতা হিরণ চট্টপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী দিলীপ ঘোষের নির্ভীকতা নিয়ে প্রশংসা করে গেছেন মোদী।গত ৭ ফেব্রুয়ারির কলকাতার বিগ্রেডে বিজেপির জনসভার পর সর্বভারতীয় ত্রয়ী নেতা মোদী, শাহ এবং নাড্ডার অনুমতি ছাড়া রাজ্য নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে যে ‘নিদান’ জারি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। সেখানে আজকের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাক পাওয়াটা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।