বুধবার এক জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রার শেষে মাতা অন্নপূর্ণা-র মৃন্ময়ী মূর্তিকে বিসর্জন দিতে চলেছে ‘কৈখালি নাগরিকবৃন্দ’।
গত ১৫ এপ্রিল মাতৃমূর্তির আবরণ উন্মোচন করে ১০ দিন ব্যাপী আনন্দ উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ, বারাসাতের সন্ন্যাসী স্বামী পুরুষানন্দ মহারাজ।
জেনে রাখা ভালো, এই বছর ৪৩ তম শ্রী শ্রী অন্নপূর্ণা পূজা’-র আয়োজন করেছে ‘কৈখালী নাগরিকবৃন্দ’।
অন্নপূর্ণা পূজা-র অন্যতম কার্যনির্বাহী সদস্য সুমন ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “এখানকার পুজোর সেরা আকর্ষণ ‘অন্নকূট’। এই বছর কমবেশি ২৩ হাজার দর্শনার্থী প্রসাদ রূপে মায়ের অন্নভোগ গ্রহণ করেছেন।”
গত সন্ধ্যায় মাতৃমণ্ডপে এসে মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান বিধায়ক তথা গায়িকা অদিতি মুন্সী।
মাতৃপূজার আয়োজক সংস্থা ‘কৈখালি নাগরিকবৃন্দ’-এর সম্পাদক দেবাশিস হাজরা জানিয়েছেন, ” উৎসবের নবম দিনে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন শোভন গাঙ্গুলী সহ অন্যান্য শিল্পীগণ।”
৪৩ বছর আগে স্বপন বিশ্বাস-এর হাত ধরে শুরু হয়েছিল এখানকার অন্নপূর্ণা পূজা। সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে শ্রী বিশ্বাস বলেন, “যে পূজা শুরু হয়েছিল ২-৩ লাখ টাকা দিয়ে আজ সেই পূজাতে বিভিন্ন উৎস থেকে কমবেশি ১৫ লাখ টাকা আদায় হলেও, ১০ দিনের এই উৎসব পরিচালনার জন্য যুব সমাজের মধ্যে যেন এক অনীহা দেখা যাচ্ছে। তবে আশার কথা এই বছর স্থানীয় ৩ জন যুবক এই মঙ্গলকাজে এগিয়ে এসেছেন।”