ভবানীপুরে মমতার ‘ঘরোয়া সভা’ প্রচার কর্মসূচি
এস.মন্ডল,
রাজ্যের সবথেকে হেভিওয়েট আসনে ভবানীপুরে উপনির্বাচনে সারা দেশের নজর। কেননা এখানে নির্বাচনে লড়ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতন তৃনমূল কংগ্রেস নিখুঁত প্রচার কর্মসূচি পালনে তৎপর। ৫ টি ওয়ার্ড ভিক্তিক প্রচার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে – এ বার বড় জনসমাবেশ, মিছিল বা রোড শো হবে না, তা আগেই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই স্থির হয়েছিল, প্রচারে ঘরোয়া বৈঠকের উপরেই জোর দেবেন মমতা। সেই মতো গত বৃহস্পতিবার ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তম উদ্যানে প্রথম ঘরোয়া বৈঠকটি হয়েছে। আজ অর্থাৎ শনিবার তৃণমূলনেত্রীর আগামী পাঁচটি ওয়ার্ডে ঘরোয়া সভার কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছেন ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতারা।সূচি অনুযায়ী, ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের একবালপুরের ইব্রাহিম রোডে এক ঘরোয়া সভায় অংশ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে এই ওয়ার্ডের ষোলোআনা মসজিদ এলাকায় প্রথম দফায় ঘুরে প্রচার সেরে এসেছেন তিনি। এ বার ঘরোয়া বৈঠকে বাছাই করা ভোটারদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন তিনি। ২২ সেপ্টেম্বর ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের অহীন্দ্র মঞ্চে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। যদিও অহীন্দ্র মঞ্চে ভবানীপুর বিধানসভার কর্মী সম্মেলন করে গিয়েছেন মমতা। তখন ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেননি মমতা। এ বার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভোট চাইবেন তিনি।২৩ সেপ্টেম্বর ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবেড়িয়া উত্তর ও পদ্মপুকুর এলাকার ভোটারদের মধ্যে প্রচার চালাবেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী। ২৫ সেপ্টেম্বর ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলিন রোড ও শেক্সপিয়ার সরণি থানার কাছে দু’টি ছোট ছোট ঘরোয়া সভা করতে পারেন মমতা। ২৬ সেপ্টেম্বর ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের পাড়া হরিশ মুখার্জি রোডের সভা দিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রচার শেষ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে প্রকাশ , প্রত্যেকটি সভাই হবে বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে। এই তালিকা থেকে আপাতত বাদ রাখা হয়েছে ৭১ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডগুলিতে প্রচার চালাবেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”যে বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং প্রার্থী, সেখানে প্রচারের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। তা সত্ত্বেও তিনি প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যে সব জায়গায় পৌঁছতে পারবেন না, সেখানে নেতাকর্মীরাই প্রচারের দায়িত্ব পালন করবেন।” প্রচারের কৌশল দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে – এই উপনির্বাচন ঘিরে তৃণমূল সর্বশক্তি দিয়ে জিততে চায়।কোনরকম ঘাটতি রাখছেনা প্রচারে।