ভারতের বাণিজ্যে নতুন দিশা—উদ্যোগ ও উন্নয়নে পাশে ফ্লিপকার্ট

Spread the love

ভারতের বাণিজ্যে নতুন দিশা—উদ্যোগ ও উন্নয়নে পাশে ফ্লিপকার্ট

পারিজাত মোল্লা

কলকাতা — ৫ নভেম্বর, ২০২৫ : ভারতের মাটিতে গড়ে ওঠা ই–কমার্স মার্কেটপ্লেস ফ্লিপকার্ট এখন প্রত্যক্ষ করছে দেশের ডিজিটাল কমার্সের পটভূমির একটা শক্তিশালী রূপান্তর। কারণ সুরাট ও ভিওয়ান্দি থেকে জয়পুর ও কারনাল পর্যন্ত গড়ে উঠছে নতুন নতুন বাণিজ্য কেন্দ্র। এবং সেগুলি সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে ই–কমার্স মঞ্চেই। উৎসবের মরশুমে এই সব দ্রুত হারে বেড়ে ওঠা ক্লাস্টারগুলি থেকে নতুন জিনিস বাছাই–এর গতি বেড়েছে ১.৪ গুণ। এর ফলে টিয়ার ২ ও টিয়ার ৩–এর শহরগুলির উদ্যোগপতিদের সক্ষম করে তুলছে সুস্থায়ী, প্রযুক্তি–পরিচালিত ব্যবসাকে আরও উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে এবং ভারতের বাণিজ্যের কাহিনিকে আরও নতুন নতুন অঞ্চলে পৌঁছে দিতে।

টিয়ার ২ শহরগুলির মধ্যে ভুবনেশ্বর, ভিওয়ান্দি ও দুর্গাপুর উৎসবের মরশুমে দেখেছে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। এর মধ্যে দিয়ে যা উঠে আসছে তা হল, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে ব্যবসাক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেন আরও গভীরে পৌঁছে যাচ্ছে। এই বৃদ্ধি থেকে প্রমাণ হচ্ছে, কীভাবে ভারতের উদ্যোগপতিরা প্রযুক্তিচালিত ব্যবসাকে আরও উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে দিচ্ছেন এবং অনলাইন বাণিজ্যের মাধ্যমে সুস্থায়ী বৃদ্ধির পথ উন্মোচিত করছেন। পরবর্তী বাণিজ্য কেন্দ্রের ঢেউ উঠে আসছে মীরাট, লখনউ, ও হাওড়া । এর মধ্যে দিয়ে বোঝা যাচ্ছে কনৌজ ও শান্তিপুরের মতো আগেকার হাবগুলি কীভাবে সফল হয়েছিল। এ সব জায়গায় লেনদেন ও মোট বিক্রি — দুটোরই ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেখতে পারছেন বিক্রেতারা।

উৎসবের মরশুমে কেনাকাটার একটা ঢেউ উঠেছিল। তার মধ্যে ফ্লিপকার্ট দেখেছে কয়েকটি জিনিসের বিক্রি বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, টিভি, স্পোর্টস শু, মেক আপের জিনিস ও সুগন্ধি। এতে বোঝা গেছে, উপভোক্তাদের পছন্দ বদলাচ্ছে এবং তারা বাজরের আরও গভীরে পৌঁছে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে, এই সব নতুন বাণিজ্য হাব এবং ক্রমশ বদলে যাওয়া কেনাকাটার অভ্যাস ফ্লিপকার্টের বৃদ্ধিতে শক্তি জোগাচ্ছে এবং কীভাবে স্থানীয় স্তরের বিক্রেতারা জাতীয় স্তরের চাহিদার সামাল দেবেন, সেই প্রয়াসকেও নতুন চেহারা দিচ্ছে।

সৈকত চৌধুরি, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ মার্কেটপ্লেস, ফ্লিপকার্ট বলেন, “সুরাট, মীরাট বা লখনউ—ভারতের নতুন বাণিজ্য কেন্দ্রগুলো দ্রুত হয়ে উঠছে ই-কমার্সের বৃদ্ধির ইঞ্জিন। ডিজিটাল হাতিয়ার, ডেটা অন্তর্দৃষ্টি ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া স্থানীয় উদ্যোগপতিদের সক্ষম করছে। সেলার ড্যাশবোর্ড ও এআই-চালিত এনএক্সটি ইনসাইটের মতো টুলের মাধ্যমে আমরা বিক্রেতাদের করছি আরও দক্ষ ও তথ্যভিত্তিক। ফ্লিপকার্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই বৃদ্ধির যাত্রায়।”

প্রযুক্তিচালিত এই গতির ওপর নির্ভর করে ফ্লিপকার্ট ক্রমাগত এমএসএমইগুলিকে, কারিগরদের, প্রথমবারের উদ্যোগপতিদের ক্ষমতায়ন করে চলেছে যাতে তারা আরও বেশি তৎপরতা ও দূরদৃষ্টির সঙ্গে তাদের ব্যবসা চালাতে পারেন। বিক্রির কাজকে আরও সহজ করে তুলে এবং ব্যবসা চালানোর জটিলতা কমিয়ে, এই মঞ্চ সারা দেশের বিক্রেতাদের সক্ষম করে তোলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সুস্থায়ীভাবে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিকশিত হতে। প্রযুক্তিতে ক্রমাগত বিনিয়োগ করে, স্বচ্ছতা এনে ও প্রশিক্ষণ দিয়ে ফ্লিপকার্ট জোরদার করে তুলছে ই-কমার্সের গণতন্ত্রীকরণে তাদের অঙ্গীকারকে এবং সারা ভারতের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাকে ভারতের ডিজিটাল বিকাশের যাত্রায় অংশগ্রহণের কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *