ভুয়ো থানা খুলে দূর্নীতির অভিযোগ,বীরভূমের নলহাটি ব্লকের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারী ও তার পুত্র গ্রেপ্তার
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
নিয়োগ দূর্নীতির অভিযোগ আগেই উঠেছিল। তৎকালীন মানিক ভট্টাচার্য এবং মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিভাসের নাম উঠে এসেছিল নিয়োগ দূর্নীতিতে।তাঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল বলেও দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।নিয়োগ মামলায় তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেপ্তারের পর বিভাস অধিকারীর কলকাতার কার্তিক বোস স্ট্রিটের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালায় ইডি। গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন বিএড প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে তার মালিকানাধীন। এছাড়া তিনি ‘বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি পদেও ছিলেন। একদা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান ও চালিয়ে ছিলেন। এবার ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে অফিস খুলে জালিয়াতির অভিযোগ বিভাস অধিকারী সহ ছয়জন কে গ্রেফতার করে পুলিশ।আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থার নামে ভুয়ো ‘থানা’ খুলে জালিয়াতি চক্রের অভিযোগে গৌতমবুদ্ধ নগর থানার পুলিশ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থা বলে দাবি করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে টাকা তোলা চলছিল। সেটা নয়ডায় অফিস খুলে রমরমিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছিল এই প্রতারণা চক্রটি। পুলিশের তল্লাশিতে সেখানে উদ্ধার হয় প্রচুর ভুয়ো নথি। একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার নামে তৈরি করা হয়েছিল সে সব জাল নথি। বিভাস অধিকারীর আদতে বীরভূম জেলার নলহাটি-২ নম্বর ব্লকের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে
সর্বভারতীয় আর্য মহাসভা নামে
নতুন রাজনৈতিক দলও তৈরি করেছিলেন। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইডি বা সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার না করলেও অন্য এক জালিয়াতি মামলায় এ বার পুলিশের জালে বিভাস অধিকারী। যদিও এনিয়ে জেলায় কোনো রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত।
