মঙ্গলকোট – আউশগ্রাম – কেতুগ্রাম নিয়ে বিস্ফোরক জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ

Spread the love

খায়রুল আনাম,

বীরভূম : বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)-কে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোলপুর লোকসভার মধ্যে থাকা পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং আউশগ্রাম বিধানসভার দায়িত্বও দিয়ে রেখেছেন। অপর দিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার দলের সভাপতি হিসেবে রয়েছেন কাটোয়ার প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিহাড় জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে আসার পরে কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের যোগ্যদা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে মঙ্গলকোটের মাটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে জানিয়ে আসার সাথে সাথে বলেছিলেন যে, মঙ্গলকোট নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আগে যে ভাবে দলীয় কর্মীদের অভিভাবকদের মতো ছিলাম, তেমনই থাকবো। এবং তিনি জানিয়ে এসেছিলেন যে, এখানে দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে একশো বার দেখা যাবে। আর এনিয়ে দলীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীকে দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ঠারে ঠারে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দলের জেলা সভাপতি হিসেবে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা তিনিই নেবেন। যার অর্থ-ই হলো, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় হস্তক্ষেপকে তেমন একটা ভালো চোখে দেখছেন না বা অনুব্রত মণ্ডলের কর্তৃত্বকে মান্যতা দিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ২৭ জানুয়ারী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমানে দলের ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে তিনি গলসি-২ ব্লকের এক নেতার কাজ এবং কথাবার্তার তীব্র সমালোচনাও করেছেন বলে জানা গিয়েছে। আউশগ্রামের এক দলীয় নেতা আউশগ্রামের বর্তমান দলীয় বিধায়ক অনুব্রত অনুগামী এবং বোলপুরের বাসিন্দা অভেদানন্দ থান্দারকে আগামী বিধানসভা ভোটে যাতে আর প্রার্থী করা না হয়, সে মতও ব্যক্ত করেছেন। যদিও রবীন্দ্রনাথ চট্টগ্রাম জানিয়ে দিয়েছেন, এধরনের মন্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, নির্বাচনে কাকে কোথায় প্রার্থী করা হবে, সে সিদ্ধান্ত দলের উচ্চস্তরেই নেওয়া হয়। কিন্তু এরমধ্যে অন্য কোনও অভিসন্ধি কাজ করছে কী না, তা সময়ই বলবে। এখন দৃষ্টি রাখতে হবে সে দিকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *