জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি,
করোনার আতঙ্কে গোটা বিশ্ব যখন কম্পমান তখন সেই আবহেই প্রকাশিত হলো 'মেঘদূত' সাহিত্য পত্রিকার শারদীয় সংখ্যা-১৪২৭. গত ২রা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর ১৫২-তম জন্মদিনে ডিজিটাল মাধ্যমে এই শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশ করেন পত্রিকার সম্পাদক তথা কবি ও সাহিত্যিক শ্রী সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায়। পত্রিকা প্রকাশ উপলক্ষ্যে ডিজিটাল মাধ্যমেই উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার সভাপতি তথা কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শ্রী বরুণ চক্রবর্তী, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কবি ও সাহিত্যিক শ্রী দেবপ্রসাদ বসু, সাহিত্য-বন্ধু সোমনাথ নাগ সহ মেঘদূত পরিচালনা পরিষদের মুখ্য পরিচালক কবি-সাহিত্যিক প্রবীর দে, সহ-পরিচালক শ্রী অসিত কুমার রায়, মেঘদূত সাহিত্য পত্রিকার বাংলাদেশ শাখার সম্পাদক জনাব সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। প্রসঙ্গত 'মেঘদূত' পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাস যাবৎ অনলাইনের মাধ্যমে 'মেঘদূত' তার সাহিত্যচর্চা বজায় রেখেছে। জানা যাচ্ছে দুই বাংলার বহু কবির লেখা এই শারদীয়া সংখ্যাকে সমৃদ্ধ করেছে। পত্রিকা কর্তৃপক্ষের আশা বিগত বছরের মত এবারও তাদের পত্রিকা কাব্য রসিকদের মুগ্ধ করবে।
পত্রিকার সম্পাদক সঞ্জয় কুমার মুখোপাধ্যায় বললেন - আজ আমাদের মহা আনন্দের দিন।নবীন প্রতিভাদের উৎসাহ দেবার জন্য প্রতিবছর শারদীয় সংখ্যা ছাড়াও আমরা একাধিক বার পত্রিকা প্রকাশ করে থাকি। কিন্তু এবার করোনা অতিমারির জন্য প্রেস বন্ধ থাকায় সেইসব সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব না হলেও আমরা শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশ করতে সফল হয়েছি। যাদের লেখা আমাদের পত্রিকাকে সমৃদ্ধ করেছে করোনার প্রভাব কেটে গেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেকের হাতে শারদীয়া সংখ্যা তুলে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে এই পত্রিকার নিয়মিত কবি মুনমুন মুখার্জ্জী বললেন- গত কয়েকবছর ধরে এবং করোনা আবহেও যেভাবে এই পত্রিকা প্রবীণদের পাশাপাশি নবীন প্রতিভাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। আশাকরি এই পত্রিকার হাত ধরে বহু নবীন প্রতিভা আগামী দিনে বাংলার কাব্য জগতের মুখ উজ্জ্বল করবে।