রক্তদানে শতবার পূরণ করলেন জঙ্গলমহলের পার্থপ্রতিম মজুমদার।।
সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:—-রক্তদান মহৎ দান একজনের রক্তদানে তিন তিনটি প্রাণ বাঁচে বলে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা সেই রক্তদানে এগিয়ে এসেছিলেন ১৯৮২ সালে বাড়ির লোককে ফাঁকি দিয়ে একটি শিবিরে সেই পথ চলা শুরু তারপর থেকে কখনো শিবিরে কখনো সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে ছুটে গেছেন রক্তদান করতে। যে মানুষটি আজ শতবার পূরণ করলেন তিনি হলেন জঙ্গলমহলের রায়পুরের বাসিন্দা তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি পার্থপ্রতিম মজুমদার। তার এই মহান কর্মকাণ্ডকে কুর্নিশ জানিয়েছেন এলাকার রক্তদাতা আন্দোলনের কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলো তিনি বলেন ছোটবেলা থেকেই রক্তদান শিবিরের কথা শুনতাম ভলেনটারি ব্লাড ডোনার এসোসিয়েশন রক্ত সংগ্রহ করত এই নামটি আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছিল তার পর থেকেই আমি জড়িয়ে পড়ি রক্তদানে আমার স্বপ্ন ছিল দুটি কর্মে আমি শতবার পূরণ করব একটি হল রক্তদান অন্য টি শব দাহ করা বা মড়া পুড়ানো। রক্তদানে আমার পঞ্জিকা রয়েছে সেই পঞ্জিকা অনুযায়ী ৩১ শে জুলাই রক্তদাতা আন্দোলনের দক্ষিণ বাঁকুড়ার দুরন্ত সৈনিক নিমাই চক্রবর্তীর কর্মজীবনের অবসরের দিনে খাতড়ায় একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল সেই শিবিরে রক্ত দান করে শতবার পূরণ করলাম আমি গর্বিত। সুস্থভাবে আমি রক্তদানে শতবার পূরণ করতে পারায়। বৈজ্ঞানিকভাবে যতদিন আমি রক্ত দান করতে পারব আমি ততদিন রক্ত দান করে যাব সারা বছরই তিন থেকে চারবার আমি রক্তদান করে থাকি এমনও ইতিহাস আছে যখন আমি কলেজে পড়ি তখন রক্তদান করার দু দিনের মাথায় আরো একবার রক্তদান করতে বাধ্য হয়েছিলাম এক প্রসূতি মাকে বাঁচানোর জন্য। তখন আমার ওজন ছিল প্রায় ৮০ কেজি। সপ্তাহের কাজে সব দায়ের কাজে ৫৪ টি পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করা ছিল রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ি শব দাহ করে গেছি কিন্তু আর হিসেব রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমি একজন বামপন্থী কর্মী। এখানে উল্লেখ্য ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পার্থ বাবু বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন।