লন্ডন বুক অফ ওয়ার্ল্ড পুরস্কার পেলেন শিল্পী মঙ্গলকোটের রুদ্র প্রসাদ ঘটক
ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়::লন্ডন বুক অফ্ ওয়াল্ড রেকর্ড তৈরি করে, ২০২৩ এ সম্প্রতি পুনে তে পুরস্কৃত হয়, পূর্ব বর্ধমানের জেলার সুখপুকুরিয়া গ্ৰামের রুদ্র প্রসাদ ঘটক ।। শিল্পী কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষদে জানান,
গত ৫ই জুন তিনি “লন্ডন বুক ওফ্ ওয়াল্ড রেকর্ড” তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।সেই মতো”লন্ডন বুক ওফ্ ওয়াল্ড রেকর্ড”টিমের সকল শর্তাবলী মেনে নিয়ে, অতিব সাবধানতার সাথে তিনি তার সমান্য দক্ষতা দিয়ে কাজ শুরু করেন। বিষয় ছিলো “স্পিড পেন্টিং” অর্থাৎ সল্প সময়ে একটি নির্দিষ্ট মাপের চিত্র অঙ্কন। ৩’×২’ ক্যানভাসে তিনি একটি রাধা কৃষ্ণের মুখমন্ডল অঙ্কন করেন।কাজটি করতে তার সময় লাগে 3 মিনিট 48 সেকেন্ড।যতটা সম্ভব পরিস্কার আঁকার চেষ্টা করে ছিলেন অতি অল্প সময়ের মধ্যে্।তবে যে একেবারে সিলেক্ট হয়ে যাবেন এটা তিনি ভাবেননি। এবং দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ও বিচারকদের নানান বিচারে অবশেষে ৫ই আগষ্ট ২০২৩ এ সিলেক্ট হয়ে যান।তাই তারই কিছু প্রাপ্তি আজকের এই পুরস্কার।
তিনি আরোও জানান যে,
“সবটাই আমার শ্রদ্ধেয় গুরু,আমার অনেক আদরের জ্যেঠু সচ্চিদানন্দ ঘটক,ও আমার ছোটো বড়ো শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা ও আর্শীবাদ এর ফল।
তাই এই সম্মান আমি সবার সাথেই ভাগ করে নিতে চাই।”
ছোটো থেকেই তার মামার বাড়ির শিল্পী পরিবারেই বেড়ে ওঠা।দাদু শিল্পী সত্যনারায়ণ মহান্ত দেখে ও কাছ থেকেই প্রথম পথচলা শুরু হয়।তার পর বিশ্বভারতী কলাভবন থেকে পঠন পাঠন শেষ করে 2018 সালে।পঠন পাঠন শেষের দিকে চলাকালীন শিল্পী আরও একটি ডিপ্লোমা কোর্স করেন ,পুনে এফ্ টি আই আই থেকে চলচিত্র শিল্প নির্দেশনা অর্থাৎ (Flim Art Direction) নিয়ে। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।সম্পূর্ণ ভাবে কর্মজীবন শুরু হয়ে যায়। প্রথমে বেশ কিছু প্রযেক্টে সহকারী হিসেবে তার পর নিজেই নির্দেশক হিসেবে কাজ শুরু করে ফেলেন মুম্বাই এ। তখন পেন্টিং টা কে সম্পূর্ণ হিসেবে নিয়ে নেন।তবে শিল্পের মাধ্যমে থাকলেও মাঝে বেশ কিছুটা সময় তিনি পেন্টিং থেকে দূরে চলে যান।তবে তা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয় নি। কভিড ভাইরাস এর সংক্রমন এরাতে যখন শুরু হয় লকডাউন।ঠিক গৃহবন্দী অবস্থায় আবার পেন্টিং টা কে আপন মনে করে সৃষ্টির তাগিতে মেতে যান এবং একের পর এক বিষয়ভিত্তিক ও রিয়েলেস্টিক ছবি সৃষ্টি হতে থাকে তার হাতে, ক্যানভাসে।তাছাড়া নিজেকে বারংবার বিভিন্ন নতুন পরিক্ষার মধ্যে রাখতে তিনি পছন্দ করেন।আঁকার মধ্যেও কিভাবে নতুনত্ব আনা যায়, এটা নিয়ে অধ্যায়ন ও চর্চা শুরু করেন ।অবশেষে সংক্রমণ কিছুটা কম হওয়ার পর এক টানা দেশে বিদেশে অনেক একক চিএ প্রদর্শনী করতে থাকেন, তা থেকে বেশ সারা পান শিল্পী ।গত ২০ জুলাই ২০২২ এ ন্যাশনাল থেকে স্বর্নপদক সহ ভারতীয় কলা সম্মান ও ১০ ডিসেম্বর ভারতীয় কলা রত্ন আর্ট অ্যচিভার অ্যাওয়ার্ড পান।একই বছরে ইন্টারন্যাশানাল থেকেও স্বর্নপদক সহ একাধিক সম্মান পেয়েছেন।
তার পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করায় তিনি হেসে উওর দেন,
আগামীতে খুব তাড়াতাড়ি আমার লন্ডনে একটি চিত্র প্রদর্শনী হতে চলেছে।
সবার আর্শিবাদ ও শুভকামনায় নিয়ে এই ভাবেই সৃষ্টি করে যেতে চাই নানান শিল্পকর্ম।