খায়রুল আনাম,
এখন নেই সেই হ্যাজাক লাইটের সময়কাল সে ভাবে কোথাও কী আর জ্বলে কার্বাইট দেওয়া গ্যাসবাতি? মাঠে ধান আগলে পাওয়া আগলদারের ধানে গ্রামে আর বসে না যাত্রাপালার আসর। মাসাধিকাল ধরে মহড়ার পরে গ্রামের ছেলেদের যাত্রাপালা দেখতে ভীড় তো কম হতো না। দূরের শহর থেকে ভাড়ায় আনা হতো পছন্দের ‘ফিমেল’। আসতো বাজনদার ও মাইকের চোঙা। আধুনিকতা কেড়ে নিয়েছে এসব কিছুকেই। যেই যাত্রাপালার প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করতে পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা একাডেমির আয়োজনে বীরভূমের লাভপুর ব্লক, লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতি এবং বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনীর সহযোগিতায় বরেণ্য কথা সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভূমি লাভপুরে ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হলো তিন দিনের যাত্রা উৎসব। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী, লাভপুরের বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক ও অন্যান্যরা। জেলাশাসক বিধান রায় বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিন মাধ্যম কী ভাবে মানুষের বিনোদনের সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছে তার উপরে আলোকপাত করেন। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অরিত্র চক্রবর্তী বলেছেন, লোকসংস্কৃতির আঙ্গিককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এই ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।