হেঁসেলে কেলেঙ্কারী
রাই প্রিয়া (ক্যানিং, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা)
ছুটির দিনে ঘুমটা ভেঙে বিগড়ে গেলো মেজাজ,
কাজের দিদি আজ আসেনি, করতে হবে সব কাজ।
কোনটা করি, কি বা করি – যেই না হুড়োহুড়ি
ওঃ বাবা গো ! সটান পতন মেঝেতে গড়াগড়ি।
হাড় টা বোধ হয় ভাঙ্গলো বুঝি কোমরেতে চোট ,
কে যেন ভাই বললো এবার ওঠ দেখি তুই ওঠ।
মনে ভাবি এবার সুযোগ কয়েকটা দিন বসে,
ফাইফরমাশ খাটিয়ে যাবো, হিসাব নিলাম কষে।
কর্তা গেলো রান্নাঘরে চায়ের কেটলি হাতে,
ঝন্ ঝনিয়ে ভীষণ আওয়াজ , ঢোকার সাথে সাথে।
কাপ বাসন আর প্লেট গুলো সব কুচি কুচি হয়ে,
মেঝের উপর ছড়িয়ে গেলো, কর্তা নীরব চেয়ে।
প্রমাদ গুনি না জানি আর কি কি হতে পারে,
যাই হয়ে যাক , কয়েকটা দিন উঠবো আমি না রে।
বাড়লে বেলা আবার কর্তা রান্নাঘরের পানে,
ভাত বসিয়ে গান ধরে সে – মনে হয়
স – ব জানে।
কড়াইতে সব সবজি দিয়ে নাড়লো আপন মনে,
দুষ্টু হাসি লুকোতে নারি, আমার ঠোঁটের কোণে।
সবজি কষে মুচকি হেসে যেই না দিলো জল,
বেগুন গুলো উঠলো ভেসে হাসলো যে খল খল ,
কর্তা অনেক চেষ্টা করেও বেগুন নাহি ডোবে,
এক বালতি জল দিয়ে বলে – ডুবিয়ে ছাড়বো তবে।
রান্নাঘরে প্লাবন দেখি, আমার মাথায় হাত,
হাঁড়ি খুলে তাকিয়ে দেখি, একি! কোথায় ভাত ?
জল ফুটেছে চাল দেয়নি, হায় রে কি খাবো !
আমি একা ভাববো কেনো ?
পাঠক একটু ভাবো ।।
