অজয়ের বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগী সেচ দপ্তরের

Spread the love

খায়রুল আনাম,

বীরভূম : একদিকে বীরভূম জেলার শেষপ্রান্ত নানুরের পালিতপুর। তার ওপরপাড়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার নতুনহাট। মাঝের অজয় নদের দু’প্রান্তকে বেঁধে রেখেছে কংক্রিটের লোচনদাস সেতু। তার পাশেই যেখানে কুনুর নদী এসে মিশেছে, সেই বাঁকেই রয়েছে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মভিটে-মধুকর। সতীপীঠ মঙ্গলচণ্ডীর মন্দিরও রয়েছে এখানে। একদিকে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আর অপর দিকে বর্ষার জলস্ফীতিতে অজয়ের জল এসে ধাক্কা মারে মধুকর প্রাঙ্গনে। এমন কী, অজয়ের মাঝের চড়ায় ধান থেকে সব্জি চাষ করার পরিপ্রেক্ষিতে এখানে জলের স্বাভাবিক গতিতেও বিঘ্ন ঘটছে। যার অনিবার্য পরিণতিতে জলের ধাক্কার মাত্রাও সহ্য করতে হচ্ছে মধুকর প্রাঙ্গনকে। এই প্রাঙ্গনেই প্রতি বছর ৩ মার্চ কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের জন্মদিনে সাহিত্য মেলা করে আসছে কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি। যে মেলায় হাজির হন এদেশের বিভিন্ন প্রান্তের কবি সাহিত্যিকদের সাথে সাথে বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকরাও। এই এলাকার ভাঙনরোধে এবার এগিয়ে এলো রাজ্য সেচ দপ্তর। এখনকার ভাঙনরোধে সেচ দপ্তর বরাদ্দ করেছে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা। গুসকরা সেচ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যাণ্ড ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হকও জানিয়েছেন, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভাঙনরোধের বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পরেই সেচ দপ্তর ওই অর্থ বরাদ্দ করেছে। মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীও জানিয়েছেন, ভাঙনরোধে সেচ দপ্তরকে জানানোর পরে ওই অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই পাকাপোক্তভাবে এই কাজ করা হবে। এছাড়াও পালিগ্রাম, লাখুরিয়া এলাকায় বালিরঘাট করে নদের বাঁধ কেটে বালির গাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওইসব এলাকার বাঁধও মেরামত করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *