অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পণ্য বাজারজাত ও করার ভাবনা স্কলার ল্যাব ফাউন্ডেশন এর
অরিজিৎ দে,
শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয় সারা ভারতবর্ষে ভালো প্রোডাক্টের চাহিদা কিন্তু আগাগোড়াই রয়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী বর্তমান বাজারে উন্নত প্রোডাক্ট কিন্তু খুবই নগণ্য। সেই উন্নত প্রযুক্তির প্রোডাক্ট বাজারজাত করার লক্ষ্য নিলো স্কলার ল্যাব ফাউন্ডেশন।
কলকাতায় সেমিনার এবং এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে স্কলার ল্যাব ফাউন্ডেশন পা রাখল। তাদের বক্তব্য বর্তমানে দেশে ট্যালেন্টের কোনরকম ভাবেই অভাব নেই কিন্তু উন্নত প্রযুক্তির জিনিস পাওয়া যাচ্ছে না সেই বর্তমান চাহিদাকে আমরা মেটাতে চলেছে তারা। বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, আইআইটি সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী সবাইকে নতুন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহ জিনিস প্রস্তুত করার জন্য আবেদন করবে। সেক্ষেত্রে জিনিস প্রস্তুত করতে যে খরচ সেই সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে স্কলার ল্যাব, তার সাথে বাজারজাত করার বিভিন্ন প্রক্রিয়াও স্কলার ল্যাব দেখবে। তবে সেক্ষেত্রে যারা প্রজেক্ট জমা দেবেন সেই প্রজেক্ট আইডিয়াকে স্কলার ল্যাবের ২৪ জন প্যানেল ভুক্ত আধিকারিকদের সবুজ সংকেত দরকার হবে এবং এবং তার পরেই সেটি চলে যাবে সোজাসুজি প্রোডাকশনে। এবং তার সাথে এই প্রোডাক্ট যখন বাজারজাত হবে তার থেকে আসা রিভিনিউ কিন্তু পাবেন যিনি এই প্রোডাক্টটির আইডিয়া এবং তৈরি করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঞ্জন ঘোষ, এবং পৃষ্ঠপোষক, ডিরেক্টর প্রজেক্টস এনটিপিসি উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ ।
অঞ্জন ঘোষ বলেন, আমাদের শিক্ষা জগত এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ট্যালেন্টের কোন অভাব নেই কিন্তু এত ট্যালেন্ট থাকা সত্ত্বেও কোনভাবেই আধুনিক প্রযুক্তির প্রোডাক্ট আমরা পাচ্ছি না। স্কলার ল্যাব ফাউন্ডেশন সেই আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে প্রোডাক্ট বাজারজাত করার লক্ষ্য নিয়েছে। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আধুনিক প্রযুক্তির যে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আমরা দিতে বদ্ধপরিকর।
উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্য বলেন স্কলার ল্যাব যে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তার জন্য আমি খুশি আমি আশা করছি আগামী প্রজন্মকে যে আধুনিক প্রযুক্তির প্রোডাক্ট দিতে পারবে। তাদের এই প্রয়াসের ফলে শুধুমাত্র সমাজ নয় তার সাথে উপকৃত হবে আগামী প্রজন্মও।