অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ধমান সহযোদ্ধার উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় বর্তমান রাজ কলেজের এনএসএস বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বর্ধমান টাউনহলে ২০২৩ পঞ্চম বর্ষ সাবেকিয়ানার সন্ধানে প্রতিযোগিতা।

Spread the love

অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ধমান সহযোদ্ধার উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় বর্তমান রাজ কলেজের এনএসএস বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বর্ধমান টাউনহলে ২০২৩ পঞ্চম বর্ষ সাবেকিয়ানার সন্ধানে প্রতিযোগিতা।

এদিনের এই প্রতিযোগিতা প্রতিযোগীদের যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক খোকন দাস, বিডিএর চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত তা, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান সদর থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী, বর্ধমান মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বনানী রায়, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল, রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল নিরঞ্জন মণ্ডল , তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চায়না কুমারী গোলসি কলেজের অধ্যাপক ডক্টর সৌরবধী ভট্টাচার্য, রাজ কলেজের এনএসএস বিভাগের প্রধান ওম শংকর দূবে |
এদিনের দুপুরে এই কর্মসূচির শুরু থেকে ছিল সাবেকি ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা। তার মধ্যে ছিল খড়িমাটি দিয়ে আলপনা আঁকা, ঢাক এবং কাঁসরের তালে ধুনুচি নাচ, পোশাকের সাবেকিয়ানা, এবং জুটিতে সাবেকিয়ানা।

সারাদিন এই প্রতিযোগিতাগুলির বাছাই পর্ব চলে, পরে সন্ধ্যে ছটা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।

সান্ধ্য কর্মসূচির শুরুতেই ছিল এক অন্য আঙ্গিকের অতিথিবরণ।

সম্পূর্ণভাবে সাবেকি ভাবধারায় অতিথিদের বরণ করা হয়, বরণের কুলোর ওপর বরন ডালার সামগ্রী, প্রদীপ সাজিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রথা মেনে অতিথি বরণ হয়। এছাড়াও সঙ্গে ছিল ব্যাচ উত্তরীয় ফুলের তোড়া এবং স্মারক। প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী এবং কর্মকর্তা ছাড়াও ভলেন্টিয়ার্সরা ছিলেন সম্পূর্ণ সাবেকি পোশাকে সজ্জিত।

সঙ্গে ছিল আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভাইরাল গায়ক মিলন কুমার এবং অতি জনপ্রিয় গায়ক ইন্দ্রনীল মল্লিক যিনি লতাজি এবং আশাজির কন্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করে দর্শকদের মন কেড়ে নেন। এছাড়াও কচিকাঁচাদের নৃত্যের অনুষ্ঠান।

সন্ধে ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাছাই পর্বের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।

সবচেয়ে বড় যে বিষয় ছিল এই প্রতিযোগিতায় সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন ভারতবর্ষের ঐতিহ্য ভারতবর্ষের সংস্কৃতি যে প্রাচীন ভাব দ্বারা হারিয়ে যেতে বসেছে নতুন প্রজন্মের কাছে সেটা এই মঞ্চে এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাতে আগামী দিনের প্রজন্মের কাছে এক উল্লেখযোগ্য বার্তা বহন করে। প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব এবং মূল পর্বের শেষে পুরস্কার বিতরণী সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শংসাপত্র এবং মেমেন্টো ছাড়াও ছিল বিভিন্ন ধরনের নামিদামি কোম্পানির আকর্ষণীয় সকল পুরস্কার এবং গিফট হ্যাম্পার।

সবে মিলে সাবেকিয়ানার সন্ধানে হয়ে উঠেছিল এক অনন্য সত্তার পরিচয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *