অন্ডাল থেকে সাইথিয়া মেমু লোকাল ট্রেনটি রামপুরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার দাবি জানালেন সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম
বীরভূমের সদর সিউড়ি সংলগ্ন জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত তিলপাড়া মিহিরলাল সেতু।উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম সংযোগকারী সড়ক পথ। সেই সেতু এখন মরনফাঁদ অবস্থায় বিরাজমান।ভয়ংকর অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। ময়ূরাক্ষী নদীর জলস্ফীতির জেরে জলাধারের ওয়াটার ডিভাইডারে দেখা দিয়েছে বড়সড় ফাটল। ছোট ছোট চিড় ধরে শুরু হওয়া বিপদ এখন মারাত্মক আকার নিয়েছে । গত শুক্রবার সন্ধ্যা হতেই ব্রিজের একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দিতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় জেলাজুড়ে। যার প্রেক্ষিতে ব্রীজের উপর ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন বীরভূম জেলা প্রশাসন। এমনকি যাত্রীবাহী বাস চলাচলের ক্ষেত্রেও ব্রীজের উপর যাত্রী খালি করে পাঁয়েহেটে যাত্রীদের পারাপারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ফাটল আরো চওড়া হয়ে যায়। যার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত সমস্ত প্রকার যানবাহন সম্পূর্ণ ভাবে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রশাসনিক ভাবে। এরফলে জেলা সদর সিউড়ি শহর এলাকায় কিম্বা রামপুরহাট শহর এলাকায় কর্মসূত্রে যাতায়াতকারী সহ অন্যান্যরা নিত্যনৈমিত্তিক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ কর্মসূত্রে সিউড়ি থেকে রামপুরহাট লাইনের বাসে যাতায়াত করেন। কিন্তু হঠাৎ করে সিউড়ির তিলপাড়া ব্রিজে ভাঙনের কারণে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়ে পড়েছে, ফলে সিউড়ি শহরসহ আশপাশের বহু গ্রামবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জী শনিবার
সিউড়ি রেল স্টেশন ম্যানেজারের নিকট একটি লিখিত দাবি পেশ করেন। সেখানে দাবি করেন যে অন্ডাল থেকে সিউড়ির উপর দিয়ে যাওয়া সাইথিয়া পর্যন্ত সকালের মেমু লোকাল ট্রেনটি রামপুরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার। চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জী দাবি করেন যদি এটা বাস্তবায়িত হয়, তবে তা নিঃসন্দেহে সিউড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের যাতায়াত সমস্যার বড় সমাধান হয়ে উঠবে।