অপেক্ষা ও অপেক্ষার অবসান
সুপর্ণা বিশ্বাস (বজবজ)
হঠাৎ কোনো এক শুভ সন্ধ্যায় আমাদের দেখা হয়েছিল।
আবার হয়তো কোনো এক সন্ধ্যায় দেখা হবে!
হয়তো প্রথম দেখার উন্মাদনা থাকবেনা;
তবুও অল্প মিষ্ট-তিক্ত কিছু কাহিনী হয়তো মনে পড়বে।
আগেও ছিলাম অদূরে আর আগামিতেও তাই!
তবুও তুমি আমি ঠিক আগের মতোন,
আর এখনও অপেক্ষায়।
হয়তো তখন তুমি শেষের কবিতার অমিত হয়ে উঠতে পারোনি;
আর লাবণ্য আমিও হয়ে উঠিনি যদিও ঠিকঠাকভাবে তখনও।
যদিও আগে তুমি বলাটাও ঠিকঠাক আমাদের অভ্যাসে আসেনি,
আর বন্ধুত্বটাই বা হলো কই ঠিকঠাক যে প্রেম হবে?!
ভারী আশ্চর্য্য ব্যাপার!!
হয়তো সবটা পাকাপাকি ভাবে পরিনতি পেতে পেতে কোনো এক বিশেষ সন্ধ্যায় আমরাই পরিনত হয়ে উঠবো সর্বতোভাবে;
আর তখনই না হয় আমাদের পরিনয় হবে।
হোক না দেরী তবে ক্ষতি কি?
যত দেরী হবে ততই তো ভালো।
আমরা আরও আরও ভালো বন্ধু হবো।
আরও অনেক অনেক কাছের হবো দুজন দুজনের।
একসাথে বার্ধক্য কাটাবো।
নাই বা হলো পরিনয়!
তবুও তো আমরা পরিনত হবো।
তাই বা কম কি?
একসাথে বৃদ্ধ হবো।
শেষমেষ তুমিও হয়ে উঠবে অমিত আর আমিও পরিপূর্ণ লাবণ্য।।