অবশেষে ভিবজিওর কোম্পানির সম্পত্তি নিলাম শুরু হাইকোর্টের নির্দেশে

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন,


একুশে নির্বাচনের প্রাক্কালে  প্রায় রাজনৈতিক দল কে  বেআইনী আর্থিক সংস্থার দুর্নীতি নিয়ে বারবার সরব হতে দেখা গেছে। বিশেষত এই রাজ্যের শাসক বিরোধীদল গুলি নানান রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছিল।তবে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার সেভাবে প্রতারিত আমানতকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দিতে সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ। ঠিক এইরকম পেক্ষাপটে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার শুরু হলো এক বেআইনী আর্থিক সংস্থার সম্পত্তি নিলাম পর্ব।আশার আলো দেখছেন এইরাজ্যের কয়েক লক্ষ আমানতকারী সহ এজেন্টবৃন্দ।সোমবার কলকাতার ৮৭ নাম্বার সুরেশ সরকার রোডে এই সম্পত্তি নিলাম পর্ব চালু হয়।পুরো বিষয়টির নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস.সি তালুকদার সাহেব।তাঁর নেতৃত্বে এই কমিটিতে রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই, ইডি এবং সেবির আধিকারিকগন।উল্লেখ্য, ৫১ টি বেআইনী আর্থিক সংস্থার দুর্নীতির তদন্তে রয়েছে সিবিআই – ইডি – সেবি কর্তৃপক্ষ। বছর খানেক আগে, কলকাতা হাইকোর্টের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত  বিষয়ক বিশেষ বেঞ্চের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এই বেআইনী আর্থিক সংস্থার সম্পত্তি নিলামের জন্য কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। যা আজ অর্থাৎ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস.সি তালুকদার সাহেবের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি কার্যকর করা শুরু করলো।৫১ টির মত বেআইনী আর্থিক সংস্থার সম্পত্তি নিলামের মধ্যে আজ ‘ভিবজিওর’ কোম্পানির সম্পত্তি নিলাম পর্ব চালু হলো এদিন।এই ভিবজিওর কোম্পানির কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৩২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে প্রকাশ। কলকাতার বেনিয়াপুকুর,  এন্টালি এবং পার্কস্ট্রিট থানা এলাকায় যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমান এলাকাতেও রয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয় উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খন্ডে রয়েছে ভিবজিওর কোম্পানির বেআইনী  সম্পত্তি। আমানতকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন – ” দশ বছরের বেশি সময়কালে লক্ষাধিক আমানতকারী তাঁদের সর্বস্ব সঞ্চয় এইবিধ বেআইনী আর্থিক সংস্থায়   নিয়োগ করেছিলেন। মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশে সম্পত্তি নিলাম পর্ব চালু হওয়ায় আমানতকারীরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থ ফিরে পাবেন বলা আশা করা যায়”।উল্লেখ্য, গত ২০১০ সালের পর থেকে এই রাজ্য থেকে বিভিন্ন বেআইনী আর্থিক সংস্থা হাজার কোটির বেশি অর্থ সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ। সারদা থেকে রোজভ্যালি, আইকর থেকে ভিবজিওর প্রভৃতি কোম্পানি গুলি এই বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে। যার জেরে বাংলা জুড়ে  দশক শতক আমানতকারী থেকে সাধারণ এজেন্ট বিপুল আর্থিক ক্ষতি সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষত বাম ও কংগ্রেস এই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দাখিল করে থাকে। তাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রভাবশালীদের গ্রেপ্তার করে আমানতকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সারদা থেকে রোজভ্যালি কর্তা গ্রেপ্তার পর্যন্ত হয়।তারা বর্তমানে জেলের সংশোধনগারে।পশ্চিম মেদনীপুর আদালতে এক বেআইনী আর্থিক সংস্থার আধিকারিকরা সাজা পর্যন্ত পান।এইসব আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই ইডি সেবি বিভিন্নভাবে তদন্ত চালিয়েছে এবং চালাচ্ছে।কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি সম্প্রতি এইসব বেআইনী আর্থিক সংস্থার সম্পত্তি নিলাম করে আমানতকারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।  কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস.সি তালুকদারের নেতৃত্বে এক কমিটি গড়ে দেয়।যেখানে সিবিআই, ইডি, সেবির আধিকারিকরা আছেন। আজ অর্থাৎ সোমবার কলকাতার ৮৭ নাম্বার সুরেশ সরকার রোডে ভিবজিওর কোম্পানির সম্পত্তি নিলাম পর্ব চালু হয়েছে। এই কোম্পানির ১২৬ টি জায়গায় ৩২৫ কোটির সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে কলকাতার বেনিয়াপুকুর, এন্টালি এবং পার্ক-স্ট্রিট থানায় যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমান এলাকাতেও রয়েছে বলে জানা গেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *