অসহায়দের পাশে একাধিক সহৃদয় ব্যক্তি
নীহারিকা মুখার্জ্জী
গত কয়েক বছর ধরে নিজেদের সীমিত সামর্থ্যকে পাথেয় করে বারবার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে হাওড়ার আন্দুলের 'জীবন চেতনা' নামক একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানব সেবার জন্য সমানে তারা উৎসাহ দিয়ে চলেছে আরও কয়েকটি সংস্থাকে। সবার মিলিত উদ্যোগে মাঝে মাঝে এলাকার অসহায় শিশুদের মুখে ফুটে উঠছে হাসি।
এই গ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্যা তথা সমাজসেবী হলেন কাঁচরাপাড়ার সোনালী পাল। গত ২৪ ডিসেম্বর তিনি তার স্বামী স্বরাজ পালের জন্মদিন চারদেওয়ালের বাইরে সবার মাঝে পালনের সিদ্ধান্ত নেন। তার ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে নির্দিষ্ট দিনে 'জীবন চেতনা' সংগঠনের একাধিক সদস্য উপস্থিত হন নৈহাটির 'মুক্তধারা আশ্রম'-এ। সেখানে আশ্রমের ২৬ টি শিশু কন্যার হাতে তুলে দেওয়া হয় কিছু শুকনো খাদ্য সামগ্রী সহ কিছু শিক্ষা সামগ্রী।
শুধু তাই নয় শিশুকন্যাগুলি কর্তৃক নিজেদের মতন করে পরিবেশিত কবিতা, গান, আবৃত্তি, নৃত্যকলা ও অঙ্কন উপস্থিত ব্যক্তিদের মুগ্ধ করে।
সোনালী পাল ছাড়া তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাঁকিনাড়ার 'জনচেতনা ফাউন্ডেশন'-এর বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা ইউনিসেফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টার দেবাশীষ দাস, বারাসাত আমডাঙার রক্তযোদ্ধা দেবাশীষ দাস, বিশিষ্ট যোগাবিদ রীণা দাস, শুভাশীষ বাদক, সোমা কর্মকার প্রমুখ।
জন্মদিন উপলক্ষ্যে আশ্রমের শিশুকন্যা সহ উপস্থিত সংগঠনের সদস্যরা স্বরাজ বাবুকে শুভেচ্ছা জানান। যদিও ব্যক্তিগত কারণে স্বরাজ বাবু নিজে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতায় একইদিনে বেলঘরিয়াবাসী জনৈকা দেবযানী দেবী ব্যারাকপুর স্টেশনের পথ শিশুদের হাতে কিছু জামাকাপড় তুলে দেন।
'জীবন চেতনা' গ্রুপের অপর শুভাকাঙ্ক্ষী হাওড়ার মৌড়ীর বাসিন্দা সান্ত্বনা পাত্র ও শম্পা পাত্র 'শিশু সেবাতেই যীশু সেবা'-র উদ্দেশ্যে বড়দিন উপলক্ষ্যে আলমপুর জঙ্গলপুর সারদা আশ্রমের আশ্রমিক ২০ জন শিশুর রাত্রিকালীন খাদ্য সামগ্রী এবং শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন।
হাসতে হাসতে সোনালী দেবী বললেন - লক্ষ্য ছিল সমাজসেবা। লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য স্বামীর জন্মদিনটি উপলক্ষ্য হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম।
শুভাশীষ বাবু বললেন - আমাদের ইচ্ছে সংগঠনের সকলের সহযোগিতায় আগামী দিনে আরো বেশি সংখ্যক অসহায় শিশুদের কাছে পৌঁছাতে চাই। এরজন্য দরকার সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা।